নিজস্ব প্রতিবেদন: যেটা অতীতে হয়ে এসেছে, এবারও তাই হল। মিজোরামে দু’বারের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারে না কোনও দলই। এবারে পারল না কংগ্রেসও। এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর সরতে হচ্ছে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলাকে। ২৬-৫ ব্যাবধানে কংগ্রেসকে হারিয়ে মিজোরামে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে চলেছে মিজো ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট। এই রাজ্যে কেবল একটি আসনে জয়যুক্ত হয়েছে বিজেপি। ৪০টি বিধানসভার মধ্যে ৬টি আসন পেয়েছে অন্যান্যরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ‘হার-জিত জীবনেরই অংশ’, নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর টুইট নরেন্দ্র মোদীর


বাংলাদেশ লাগোয়া এই রাজ্য স্বায়ত্বশাসন পাওয়ার পর থেকেই কংগ্রেস তার আধিপত্য কায়েম করেছিল। ১৯৮৯ থেকে টানা এক দশক ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তবে হ্যাটট্রিক হওয়ার আগেই সরতে হয় মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলাকে।  ৯৮-এ ক্ষমতায় আসে  মিজো ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট। মুখ্যমন্ত্রী হন এমএনএফ প্রধান জোরামথাঙ্গার। দু’বার মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর আবার সরতে হয় তাঁকেও। মিজোরাম ফিরিয়ে নিয়ে আসে কংগ্রেসকেই। ফের মুখ্যমন্ত্রী হন লাল থানহাওলাকে। একদশক ক্ষমতায় থাকার পর এবার তাঁকেও সরতে হল। যার ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে কংগ্রেসের শেষ পদচিহ্নও মুছে গেল।


আরও জানুন- মরুরাজ্যে লাল গোলাপ ফোটালেন বঙ্গসন্তান


রাজ্যের সাত লাখ ভোটারের মধ্যে কেবল ৩০ শতাংশ ভোট-ই আদায় করতে পেরেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ৩৭.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে  এমএনএফ। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে স্রেফ শতাংশের বিচারেই নয় আসনের নিরিখেও কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করেছে জোরামথাঙ্গার দল। গত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এবার আরও ২১টি সিটে জিতেছে জোরামথাঙ্গার। এবার তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ২৬। সেখানে ৩৪ আসন থেকে একেবারে পাঁচে এসে ঠেকেছে রাহুল গান্ধীর দল। উল্লেখ্য, এই রাজ্যে ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। সেখানে বেশিরভাগ আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে শাসকের। তারা জিতেছে স্রেফ একটি আসনেই।


সূত্রের খবর, শনিবারের মধ্যেই হয়ত মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন এমএনএফ প্রধান জোরামথাঙ্গার। আর সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে তাঁরা।