নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টেরই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন গৃহীত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামিকাল খুলছে সবরীমালার মন্দির। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেরল সরকার কী ভূমিকা নেবে, তার কৌশল ঠিক করতেই সর্বদল বৈঠকের আহ্বান করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তবে, নতুন রায় না আসা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই বহাল থাকবে বলে অনড় তিনি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক বয়কট করে কংগ্রেস-বিজেপি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পাক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভারত বিরোধী প্রচার, গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের যুবক


সবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশে প্রথম থেকেই বিরোধিতা জানিয়ে এসেছে কংগ্রেস-বিজেপি এক সঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পর অক্টোবরের ১৭ থেকে ২২ এবং নভেম্বরে ৫ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত আয়াপ্পার মন্দির খুললেও কোনও ঋতুমতী মহিলা প্রবেশের সুযোগ পাননি। উল্টে যাঁরা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সবরীমালায়। বিক্ষোভকারী ভক্তদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি, ভাঙচুর এমনকী ১৪৪ ধারা অমান্যের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম শাসিত সরকার। উল্লেখ্য, মন্দালা পুজো মহোত্সব ১৬ থেকে ২৭ নভেম্বর এবং মকর বিলাক্কু উপলক্ষে ৩০ নভেম্বর থেকে পরের বছর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সবরীমালা মন্দির খোলা থাকবে।


আরও পড়ুন- পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরছেন উর্জিত প্যাটেল! রফাসূত্র খুঁজছে দু’পক্ষই


পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব গ্রহণ করলেও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বরের রায় বহাল থাকবে। অর্থাত্ সব বয়সের মহিলাদের সবরীমালার মন্দিরে প্রবেশাধিকার রয়েছে। সমজাকর্মী তৃপ্তি দেশাই আয়াপ্পা দর্শনে যাওয়ার জন্য পিনারাই বিজয়নকে লিখিতভাবে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। তবে, তিনি অভিযোগ করেছেন, এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী দফতর কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আয়াপ্পা দর্শনের পথে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। ত্রুপ্তির মতো ৫০০ মহিলাও আয়াপ্পা দর্শনের জন্য অনলাইনে আর্জি জানিয়েছেন।