নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জইশের আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কারণ, জইশের মাথা মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বাজপেয়ী সরকারের আমলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই কংগ্রেসের তরফে এই ধরনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বরং কংগ্রেস পাকিস্তানকে বন্ধুত্বের বার্তা দিতে পাঠানকোট হামলার মূলচক্রীকে ছেড়ে দিয়েছিল।


২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা হয়। ওই হামলার মূলচক্রী ছিল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ শাহিদ লতিফ। পাঠানকোট হামলায় চার জঙ্গি নিহত হয়। তাদের অস্ত্র, খাবার, পোশাক, জুতো, ওষুধ-সহ আরও প্রয়োজনীয় জিনিস লতিফই যোগান দিয়েছিল হামলার পর বিষয়টি জানা গিয়েছিল।


আরও পড়ুন: ফের একবার মাসুদ আজাহারকে বাঁচাল চিন, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের


২০১০ সালের ২৮ মে লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন ও জইশ-ই-মহম্মদের ৩৫ জন জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের সরকার। সেই তালিকাতেই ছিল জইশ জঙ্গি শাহিদ লতিফের নাম।


পাঠানকোট হামলার পরই বিষয়টি সামনে আসে। তখনই একাধিক সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছিল। সেই বিষয়টিই নিয়ে সরব বিজেপি। তাদের দাবি, মাসুদকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তত্কালীন বাজপেয়ী সরকার। কারণ, তালিবানরা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান অপহরণ করে। পণবন্দি করে ১৫৪ জন যাত্রীকে।


আরও পড়ুন: হাত দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শত্রু ট্যাঙ্ক উড়িয়ে দেবে ভারতীয় সেনা


আফগানিস্তানের কান্দাহারে ওই বিমান আটকে রাখা হয় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। অনেক আলোচনার পর ভারত সরকার ১৫৪ জন যাত্রীকে নিরাপদে দেশে ফেরাতে মাসুদ আজহার ও তার দুই সঙ্গীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।


কান্দাহার কাণ্ডের সময়ও শাহিদ লতিফকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাজপেয়ী সরকার সেই সময় সেই দাবি নাকচ করে দেয়। তার পর ২০১০ সালে মনমোহন সরকার লতিফকে ছেড়ে দেয়।


কেন ছাড়া হয়েছিল লতিফকে? সেই প্রশ্নের উত্তরেও পাঠানকোটের হামলার পর মিলেছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, কোনও চাপের মুখে নয়, বরং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে শান্তির বার্তা দিতে লতিফ-সহ ৩৫ জন জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল মনমোহন সিংয়ের সরকার।


আরও পড়ুন: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মোদী যতটা কড়া মনমোহন তা ছিলেন না, কবুল শীলা দীক্ষিতের


লতিফ পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার আমিনাবাদ শহরের বাসিন্দা। ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার পর সে পাকিস্তানের শিয়ালকোট এলাকায় জইশের প্রভাব বাড়াতে মাসুদ আজহারের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।