নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষিঋণ মুকুব না করতে পারলে পদত্যাগ করবেন, দিল্লি যাওয়ার আগে কর্নাটকবাসীর উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছেন নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।  একই সঙ্গে জানিয়েছেন, মানুষের সমর্থনে নয়, কংগ্রেসের কৃপায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। অনেকেই মনে করছে,  এখনই কংগ্রেস-জেডি(এস) সংঘাত না বাধলেও আগামিদিনে যে তার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে, তারই পূর্বাভাস কুমারস্বামীর এই বক্তব্য। কর্নাটকের মন্ত্রিসভা গঠনের আগে ৭ দিন সময়ও চেয়ে নিয়েছেন নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। এরই মধ্যে ছেলের হয়েই আগাম ব্যাটন ধরলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি(এস) নেতা এইচডি দেবেগৌড়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'মানুষ সমর্থন করেনি, ক্ষমতায় এসেছি কংগ্রেসের কৃপায়', কুমারস্বামীর মন্তব্যে তোলপাড়


কুমারস্বামীকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী করার কথা জেডি(এস) বলেনি। বরং কংগ্রেসই চেয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী  হোক কুমারস্বামী, সাফ জানালেন দেবেগৌড়া। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “তাঁরা (কংগ্রেস) সরকার গড়লে আমাদের কোনও সমস্যা নেই, এই কথাই জানিয়েছিলাম কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ এবং অশোক গেহলটকে। তাঁরাই উল্টে আমাকে কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা জানায় এবং বলে এটা তাঁদের হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্ত ”। এরপরই ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বক্তব্যে দেবেগৌড়া বুঝিয়ে দেন কৃষিঋণ মুকুবের প্রতিশ্রুতি পালন না করতে পারলে তার দায় কেবল কুমারস্বামীর একার হবে না। কুমারস্বামীর পদত্যাগ প্রসঙ্গ টেনে  বর্ষীয়ান জেডি(এস) নেতা বলেন, “মাত্র ৩৭টা বিধায়ক নিয়ে সরকার চালাতে হবে সেটাও অন্য একটা দলের সমর্থন নিয়ে। কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া কখনই এটা সম্ভব নয়। এই কারণেই পদত্যাগ করার কথা বলেছেন কুমারস্বামী”।


আরও পড়ুন- যেচে ইডলি-ধোসার ই-নিমন্ত্রণ নিলেন মোদী


উল্লেখ্য, শপথ গ্রহনের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৫৩ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ মুকুব করার কথা ঘোষণা করেন দেবেগৌড়া পুত্র কুমারস্বামী। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, জোটে থাকা বৃহত্ শরিকের সঙ্গে আলোচনা না করে এমনকী রাজ্যের আর্থিক অবস্থান পর্যালোচনা না করেই যেভাবে কৃষিঋণ মুকুবের ঘোষণা করেছেন কুমারস্বামী, তা কার্যত কাঁটা হয়েই বিঁধছে    জেডি(এস)-কে। আর সেকারণেই আগে-ভাগেই দায়মুক্ত হতে চাইছেন দেবেগৌড়া এবং নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।অন্যদিকে আবার ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী সমীকরণে কোনও রকম নড়চড় করতে চাইছে না কংগ্রেসও, এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।