নিজস্ব প্রতিবেদন:  সংসদে পাস হওয়া আইন রাজ্যকে মানতে বাধ্য। এমনটা মনে করেন খোদ কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। কেরলের কোঝিকরে শনিবার একটি অনুষ্ঠানে সিএএ প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল বলেন, সংসদে পাস হওয়া আইন মানব না বলা কঠিন যে কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবও সিএএ কার্যকর করবে না জানিয়ে দেয়। এর জন্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাবনাও পাস করান মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিএএ প্রত্যাহার প্রস্তাব প্রথম বিধানসভায় পাস করায় কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ওই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহারও জানিয়েছে, সিএএ কার্যকর করতে দেবে না তাদের রাজ্যে। কিন্তু আদৌ কি কোনও রাজ্যের সংসদে পাস হওয়া আইন কার্যকর না করা ক্ষমতা আছে? এ নিয়ে রবিবার সকালে আরও একটা টুইট করেন কপিল সিব্বল। সেখানে একটু পিছু হটে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, সিএএ সংবিধান-বিরোধী। এই আইন প্রত্যাহারে প্রস্তাব পাস কারনো প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট যদি এই আইনের বৈধতায় সিলমোহর দেয়, তাহলে সমস্যা রয়েছে।”


আরও পড়ুন- শাবানা আজমির ড্রাইভারের বিরুদ্ধে FIR, মারাত্মক অভিযোগ করল ট্রাক ড্রাইভার


এনপিআর প্রসঙ্গে কপিলের মন্তব্য, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের উপর ভিত্তি করে এনআরসি হবে। কিন্তু রাজ্য স্তরের অফিসার-কর্মীরাই এনপিআর নথিভুক্ত করবে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সাহায্য না করার ক্ষমতা রাজ্যের আছে কিনা ধোঁয়াশা রয়েছে। কংগ্রেসের আরও এক বর্ষীয়ান নেতা সলমন খুরশিদও বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের উপরই নির্ভর করছে সিএএ-র ভবিষ্যত।