নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৪। তারপর ২০১৯। পরপর দুবার ভরাডুবি। আরও একবার বিরোধী দলের তকমাও হারিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু তারপরেও ভরাডুবি মানতে নারাজ কংগ্রেসের কর্মসমিতি। এমনকি দায় স্বীকার করেও রাহুল গান্ধী পদত্যাগের প্রস্তাবও গৃহীত হল না। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন,''রাহুল গান্ধী দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সর্বসম্মতিভাবে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে কর্মসমিতি''।             
              
আরও একবার মোদী ঝড়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। এবারও নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ ছিলেন রাহুল গান্ধী। হারের দায় স্বীকার করে রাহুল পদত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। কিন্তু পদত্যাগ তো দূর রাহুলের ক্ষমতা কার্যত আরও বাড়াল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার কথাতেই তা স্পষ্ট হয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্রের কথায়,''রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে খারিজ করে দিয়েছেন ওয়ার্কিং কমিটির নেতারা। সকলেই সহমত প্রকাশ করেছেন, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে রাহুলের নেতৃত্ব দরকার। যুবক, কৃষক, মহিলা ও পিছিয়ে পড়া, সংখ্যালঘু, শোষিতদের সমস্যার সমাধানে তাঁকে এগিয়ে যেতে হবে। কংগ্রেস সভাপতি সংগঠনের আমূল পরিবর্তন ও বিস্তৃত করুন''। এখানেই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, নেতার কোনও দায় নেই, কিন্তু নিচুতলায় সংগঠনে রদবদল হবে। অর্থাত্ হারের দায় নিচুতলার!       
        



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে সুরজেওয়ালার চেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছেন গুলাম নবি আজাদ। রাহুলকে বাঁচাতে তাঁর সাফাই, ''হার-জিত থাকে। কিন্তু সামনে থেকে লড়াই করেছেন রাহুল। তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। হারের দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিতে চান তিনি। কিন্তু এই প্রথম দেখলাম,  সর্বসম্মতভাবে নেতারা আপত্তি করলেন। সবাই মিলে সোচ্চারে ইস্তফার করছেন, এমনটা কখনও দেখিনি। রাহুলকে বলেছি, আপনার নেতৃত্বে সবাই কাজ করবেন। আমরা অনুরোধ করছি, নিজের মতো করে আপনি বদল করতে পারেন''।   


 



রাহুলকে বাঁচাতে গুলামকেও হার মানিয়েছেন একে অ্যান্টনি। তাঁর কথায়, কংগ্রেসের বিপর্যয় হয়েছে,''এমনটা নয়। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করবে দল। আজ শুধুমাত্র সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে''।        



 


রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেস আছে কংগ্রেসেই। বংশবাদের হাত থেকে কংগ্রেস এখনও রেহাই পেল না। বিপর্যয়ের পরও রাহুল গান্ধীকে বাঁচাতে নেমে পড়লেন নেতারা। এমনকি তাঁর হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়া হল। এটা তো কার্যত পুরস্কারের সমান। ব্যর্থতার পরও পুরস্কার! বিজেপির এক নেতার সরস মন্তব্য, ধন্যবাদ কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীই সভাপতি থাকুন। কারও কটাক্ষ, ঘটা করে বৈঠক ডাকার কী দরকার ছিল, হোয়াটসঅ্যাপেই তো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারতেন।   


আরও পড়ুন- দেশ জিতেই নজর বাংলায়, আজ রাজ্যের বিজেপির সাংসদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন শাহ