শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: ভয়ংকর দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দেড় দিন। ইতিমধ্যে সরানো হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ২১টি কোচ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহাঙ্গা বাজার স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেস বেলাইন হয়ে যায়। মাত্র ৩টি বগি ছাড়া লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডলের সবকটি কামরা। ওদিকে লাইনচ্যুত কমমণ্ডলের বগির ধাক্কায় বেলাইন হয়ে যায় ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩-৪টি কামরা। রেলের তরফে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত সব কামরাগুলিকেই বাহাঙ্গা বাজার স্টেশনে তোলা হয়েছে। এবার দুর্ঘটনাস্থল পরিষ্কার করা হচ্ছে। শুধু মালগাড়ির ৩টি ওয়াগনকে এখনও সরানো বাকি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওদিকে আজ সকালে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আবার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। প্রসঙ্গত, গোটা ঘটনায় বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলের ভূমিকা। সমন্বয়ের অভাব, মানুষের ভুল, নাকি কারিগরি সমস্যা? কী কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা? রেলের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ২ লাখ টাকা এবং অল্প চোটআঘাত প্রাপ্তদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।


গতকাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ঘটনস্থল ঘুরে দেখার পর হাসপাতালে আহত যাত্রীদের সঙ্গেও দেখা করতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, "এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে রেল। যাতে আগামী দিনে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। আহতদের সুস্থ করার জন্য সরকার কোনওরকম ত্রুটি রাখবে না। কার গাফিলতিতে এই দুর্ঘটনা, তা তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না। কঠোর শাস্তি পাবে তারা।" 


শুক্রবার সন্ধ্যা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ১২৮৪১ চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস হাওড়ার শালিমার থেকে দুপুর বেলায় রওনা দেয়। তারপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে নাকি একটি মালগাড়িকে ধাক্কা মারে। মালগাড়ির সঙ্গে ট্রেনটির সংঘর্ষ এতটাই জোরালো ছিল যে করমণ্ডলের ইঞ্জিন মালগাড়ির উপর চেপে যায়। ৩টি বগি বাদে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সব কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। লাইনচ্যুত করমণ্ডলের কামরার সঙ্গে ধাক্কা লেগে আবার ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও বেশ কয়েকটি কামরা বেলাইন হয়ে যায়। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত প্রায় ৬৫০। 


দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬। 


আরও পড়ুন, Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেসই শুধু নয়, অতীতে ভয়ংকর এইসব দুর্ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)