নিজস্ব প্রতিবেদন- ১৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল গুজরাতে। তার পর ২২ মার্চ সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর সামনে আসে। গত কয়েক মাসে গুজরাতে আগুনের মতো ছড়িয়েছে করোনা। আর নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ পেরিয়েছে। আর করোনা রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয় বাড়ার পিছনে স্বাস্থ্য কর্মীদের যে গাফিলতি রয়েছে তা বলাই যায়। কারণ রাজকোটের এক হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাহ করার ক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হচ্ছে না। এমনকী উঠছে গাফিলতির অভিযোগ। হাসপাতাল চত্বর যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে করোনায় মৃতদের দেহ। এমনকী নোংরা-আবর্জনা ফেলার জায়গাতেও প়ড়ে রয়েছে মৃতদেহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের সঠিক হিসাব প্রকাশ করছে না প্রশাসন। এমন অভিযোগ ছিল। গুজরাতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত রিপোর্ট একই কথা বলছে। রাজকোটের সিভিল হাসপাতালে দেখা গেল হাড়হিম করা ছবি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের দেহের উপর রাখা রয়েছে জিনিসপত্র। যেন সেটি জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখার কোনও আসবাব। এমন ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে হইচই পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃতদেহগুলির সঙ্গে অমমানবিক আচরণ করছে। কখনও কখনও একইসঙ্গে অনেক করোনা রোগীর মৃতদেহ স্তুপাকারে রাখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-  বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ধসে গেল আস্ত বিল্ডিং, মৃত ৯


শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে গেলেও লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে হাসপাতাল থেকে একটি ট্রলিতে দুটি করে মৃতদেহও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার ও শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করার কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নাওয়া-খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না। অনেকেই জানিয়েছেন, রাতের দিকে মৃতদেহ আসছে বেশি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে বা ভোরের দিকে কোভিড রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।