পনেরো জানুয়ারির আগে চিনে গেলে ঢোকা যাবে না ভারতে, নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
চিনকে কার্যত নিজের কব্জায় করে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। মৃত্যুমিছিল ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। একদিনে একশোজনের প্রাণহানিতে আরও বেড়েছে আতঙ্ক
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কে আরও সতর্ক কেন্দ্র। পনেরোই জানুয়ারির আগে চিনে গেলে সেই ব্যক্তি ঢুকতে পারবেন না ভারতে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তবে বিমানের ক্রু বা বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে না।
চিনের সঙ্গে আপাতত উড়ান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া। দিল্লি-হংকং রুটে এখনও বিমান চালু রেখেছে স্পাইস জেট। বাংলাদেশ, নেপাল ও মায়ানমার সীমান্তগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-হনুমান চালিশা বিলি ঘিরে উত্তেজনা, বইমেলায় বন্ধ করে দিতে হল VHP-র স্টল
এদিকে, এক জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় চিন্তা কয়েকগুণ বেড়েছে ভারতের। বিশ্বের যে কুড়িটি দেশে নোভেল করোনা ভাইরাস থাবা বসাতে পারে, তার মধ্যে ১৭ নম্বরে রয়েছে ভারত। দেশের বিমানবন্দরগুলি নিয়ে সমীক্ষার পরই এই সতর্কবার্তা জানিয়েছে হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট।
করোনা থাবায় চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কার্যত শ্মশানপুরী হুবেই, বেজিং, সাংহাই। আর এই পরিস্থিতিতেই আরও কড়া পদক্ষেপ নিল দিল্লি। পনেরোই জানুয়ারির আগে চিন গেলে দেশে ঢুকতে পারবেন না কোনও ভারতীয়। আর বিদেশিদের ক্ষেত্রে নিয়মটা একটু আলাদা। পনেরোই জানুয়ারির পর চিন গেলে ভারতে আপাতত নো এন্ট্রি।
আরও পড়ুন-Operation BABY: অসংখ্য এজেন্টের হাতবদলে ভিনদেশে পাচার হচ্ছে ফুটফুটে শিশু
চিনকে কার্যত নিজের কব্জায় করে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। মৃত্যুমিছিল ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। একদিনে একশোজনের প্রাণহানিতে আরও বেড়েছে আতঙ্ক। এই খবর পৌছনোর পর আরও সতর্ক হয়েছে কেন্দ্র।
চিনে এখন জমপেশ ঠান্ডা। বছরের এই সময়টা পার্কে পার্কে ছবি তোলার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু, বেজিংয়ের পার্কগুলি এখন খাঁ খাঁ করছে। কানে আসছে শুধু পাখির ডাক। পথঘাট শুনশান। বাণিজ্য রাজধানী সাংহাইয়েরও একই অবস্থা। বন্দর শহরে নেই কোনও ব্যস্ততা। করোনায় আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব।