নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল। কিন্তু এই অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষেও কোথাও যেন রয়েছে একটি আলোকোজ্জ্বল বিন্দু। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। আর এই সংখ্যা যে সাধারণ মানুষকে কিছুটা হলেও মনোবল জোগাবে তা বলাই যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এপ্রিল মাসে দেশে করোনাভাইরাসে সুস্থতার হার ছিল মাত্র ৭.৮৫ শতাংশ। আর জুলাই মাসের শেষে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৬৪.৪৪ শতাংশ। অর্থাত্ গত কয়েক মাসে ক্রমেই উর্ধ্বমুখী হয়েছে করোনায় সুস্থতার হার। 


শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বেশ আশাব্যঞ্জক। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা জাতীয় সুস্থতার হারের থেকে অনেকটাই বেশি। দিল্লিতে করোনায় সুস্থতার হার ৮৮ শতাংশ, অসমে ৭৬ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় ৭৪ শতাংশ, রাজস্থানে ৭০ শতাংশ। 


পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক এও মনে করিয়ে দেয় যে ভারতে করোনায় মৃত্যুর হারও অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। জুন মাসে ভারতে মৃত্যুর হার ছিল ৩.৩৩ শতাং। বর্তমানে তা ২.২১ শতাংশ।


প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠে করোনা চিকিত্সার সঠিক স্ট্র্যাটেজি ও পরিকাঠামো প্রয়োগ হতেই হাতেনাতে মিলেছে ফল। ক্রমেই বেড়েছে সুস্থতার হার। 


কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কপালে ভাঁজ ফেলছে ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের গ্রাফ। এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় তার প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক। তাই করোনা মোকাবিলার পন্থায় জোর দেওয়া নিয়ে কোনও ঢিলেমি করা সম্ভব নয়। 


অনেক ক্ষেত্রেই করোনা প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটির কথা বলা হচ্ছে। এদিন সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব বলেন, ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার ও ব্যাপ্তির একটি দেশে হার্ড ইমিউনিটি কোনও পরিকল্পনা হতে পারে না। 


তিনি জানান, প্রায় ১ কোটি ৮২ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। গড়ে ১০ লক্ষ জনের মধ্যে ৩২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনা রোগীকে দ্রুত চিহ্নিত করে আলাদা করা এখনও সবচেয়ে উপযোগী।


আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত ১৭ জন পুরোহিত-পুলিসকর্মী, সাবধানতা মেনে জারি থাকছে ভূমিপুজো