নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় দলের কাউন্সিলরদের কর্মশালায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, “চুরি করে ধরা পড়লেই অন্য দলে চলে যাচ্ছেন।  যাঁদের যাওয়ার এখনই চলে যান। তবে মনে রাখবেন দল ছাড়লেও বাঁচতে পারবেন না।” মমতার সভার কয়েক ঘণ্টা পরই দিল্লিতে আরও একটা পুরসভা তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন মুকুল রায়। তাঁর কটাক্ষ, আস্ত আস্তে যোগদান করাচ্ছি, যাতে মমতার ব্যখা কম লাগে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিলেন বনগাঁ পুরসভার ১২জন কাউন্সিলর। এরইসঙ্গে দলবদল করলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাস। বনগাঁ পুরসভায় ২২টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে। বাকি তিনটিতে রয়েছে নির্দল, সিপিএম ও কংগ্রেসের কাউন্সিলর। এদিন ১২ জন কাউন্সিলর রংবদল করায় বনগাঁ পুরসভা কার্যত দখল করল বিজেপি। একইসঙ্গে তাদের বিধায়ক সংখ্যাও বাড়ল। ইতিমধ্যে কাঁচরাপাড়া, হালিসহর, নোয়াখালি, ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পুরসভায় কাউন্সিলরদের ভাঙিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির।    



 রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়,''সাত দফায় লাগাতার বিজেপিতে আসবেন বহু মানুষ। এখনও প্রথম দফার এ, বি, সি চলছে। মমতার অরাজকতা ও দম্ভের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অনেকে। পুরসভায় রং বদলানোর প্রক্রিয়া চলছে''। মুকুল রায় বলেন, ''১২৮ পুরসভার মধ্যে ৬টি পুরনিগম রয়েছে বাংলায়। লোকসভা ভোটে ১০১টি পুরসভা ও ৪টি পুরনিগমে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস হেরেছে ১২১টি বিধানসভায়। ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ১-৩ হাজার ভোটে হেরেছি। সবমিলিয়ে ১৫১টি বিধানসভা। সাতদফার মধ্যে প্রথম দফা এখনও চলছে। ধীরে ধীরে করছি, যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঘাত কম লাগে''।  



গতকাল দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করেন গারুলিয়া পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। ওই পুরসভাটিও আসতে চলেছে বিজেপির দখলে।


আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: ওয়াইসি শপথ নিতে উঠতেই সংসদে 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি