Mumbai: প্রকৃতির দিকে তাকিয়েই ঐতিহ্যে বদল? এবার কাঠের বদলে হিন্দুর দেহ সৎকার হবে ঘুঁটেতে...
Cow Dung At Crematoriums: গাছে কোপ পড়ছে বহুদিন হল। এই করতে-করতে গাছ ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। চিতার কাঠ জোগাতে-জোগাতেই বন শেষ। এর তো একটা বিহিত করতেই হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গাছে কোপ পড়ছে বহুদিন হল। এই করতে-করতে গাছ ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। চিতার কাঠ জোগাতে-জোগাতেই বন শেষ। এর তো একটা বিহিত করতেই হয়। কী বিহিত? ঘুঁটে। ঘুঁটে? হ্যা, ঘুঁটেই। কাঠ বাঁচানোর সমাধানসূত্রে মিলেছে গোবরেই। মহারাষ্ট্র সরকার এই সমাধানসূত্র বের করেছে।
আরও পড়ুন: ২০০ মিটার উঁচু ঢেউ! এই কি মহাপ্রলয়? মহা-সুনামি? বিনাশের সংকেত? তালগোল পাকাচ্ছে গোটা বিশ্ব...
সরকার একটি কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে, কাঠের বদলে ঘুঁটেতে মরদেহ পোড়াতে গেলে কতটা খরচপাতি হবে, পরিবেশই-বা কতটা সুরক্ষিত থাকবে-- এই সব জরুরি বিষয়গুলি দেখতে। গত জুনে একটি স্টাডি গ্রুপ এ সংক্রান্ত একটি এসওপি তৈরি করেছিল। দেখা হয়েছিল, যাতে নয়া ব্যবস্থায় মৃতের অধিকার কোনও ভাবে ক্ষুণ্ণ না হয়। সেই স্টাডি গ্রুপই এবার গোবর নিয়ে সমীক্ষা করবে। দেখবে, কাঠের বদলে গোবর থেকে তৈরি ঘুঁটে কতটা সুবিধাজনক বিকল্প হবে।
তবে বিকল্প করলেই তো হল না। দেখতে হবে, কাঠের বদলে ঘুঁটে ঠিকঠাক মিলবে কিনা। পাশাপাশি, মানুষ কীভাবে বিষয়টি নিচ্ছে, সেটাও দেখা হবে। কাঠের সঙ্গে যুগ যুগান্তের সংস্কার জড়িয়ে গিয়েছে। সেই সংস্কার থেকে সাধারণ মানুষ বেরিয়ে আসতে পারবেন কিনা, সেটা একটা বড় ব্যাপার।
বিষয়টি শুধু সরকারের ভাবনাচিন্তা বা নিয়মে পরিণত করার মধ্যেই আটকে নেই। স্টেট হিউম্যান রাইটস কমিশনও বিষয়টি নিয়ে নিরীক্ষার স্তরে আছে। রয়েছে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসও।
এই সূত্রেই একটা মজার তথ্য সামনে এসেছে-- ২০২৩ সালের একটি হিসেব বলছে, মহারাষ্ট্রে মোটামুটি ৯৪ লক্ষ গৃহপালিত পশু আছে। এই হিসেবটা জরুরি কেননা, কাঠের বদলে ঘুঁটেতে মৃতদেহ সৎকার করতে হলে গোবর কতটা লভ্য সেটা অবশ্যই হিসেবের মধ্যে আগাম রাখতে হবে।