নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় বড়সড় ধাক্কা খেল সিপিএম। সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রবীণ সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিত্ দত্ত। তাঁর অভিযোগ, দুর্নীতি ও অপরাধে ভরে গিয়েছে এই বামপন্থী দল। প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সাল থেকে সিপিএম করতেন বিশ্বজিত্ দত্ত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার বিকেলে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে খোয়াই জেলায় বিজেপির অফিসে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন বিশ্বজিত্ দত্ত। তাঁকে গেরুয়া শিবিরে স্বাগত জানান ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল দেওধর। 


সিপিএমের রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সদস্য বিশ্বজিত্ দত্ত বলেন,''নির্মম ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ১৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা ভোটের আগে হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার জায়গায় অন্য আর একজনকে প্রার্থী করা হয়''। উল্লেখ্য দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ১৮ এপ্রিল সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন বিশ্বজিতবাবু।


চলতি বছর নির্বাচনের আগে বিশ্বজিত্ দত্তকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল সিপিএম। ২৮ জানুয়ারি অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালে। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয় প্রাক্তন এসএফআই নেতা নির্মল বিশ্বাসকে। ২৭০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। বিশ্বজিত্ দত্তের দাবি, তাঁকে জোর করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল দল। তিনি মোটেও অসুস্থ ছিলেন না। তাঁর কথায়, ''হাসপাতালে দেখতেই পাই সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাসকে। পরে দল জানায়, ভোটে লড়াই করার জন্য শারীরিকভাবে সুস্থ নই আমি''।  


বামপন্থী আদর্শ ছেড়ে কীভাবে বিজেপির আদর্শের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন?


বিশ্বজিত্ দত্তের কথায়, ''মানুষের সেবা করাই আমার আদর্শ। বিজেপিতে থেকে সেটাই করব। বিপ্লব দেব ও বিজেপি নেতৃত্বের অধীনে প্রান্তিকদের সহযোগিতা করব। মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠব''। 


বিজেপি নেতা সুনীল দেওধর বলেন, ''দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ওনার নামে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। ত্রিপুরার ১০ জন সত্ নেতার মধ্যে উনি রয়েছেন। ওনাকে সম্মান দিয়ে স্বাগত জানিয়েছি আমরা''।


চলতিবছর ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরার মসনদে বসেছেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ৩ বছর আগেও ত্রিপুরায় দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হত যে দলকে, সেই দলের হাতেই আজ ত্রিপুরার ক্ষমতা।     


আরও পড়ুন- ভীমা-কোরেগাঁও হিংসায় মাওবাদীদের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ, খবর পুলিস সূত্রে