শক্ত খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নৌকা বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা, এমন ঝড় দেখেনি বালাসোরের বহু মত্সজীবী
মঙ্গলবার থেকেই বালাসোরে বইছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর সঙ্গে একসঙ্গেই উঠে আসছিল ওড়িশার বালাসোরের নাম। কারণ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, বালাসোরের কাছাকাছিই আঘাত হানতে পারে ইয়াস। কিন্তু ক্রমশই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের লক্ষ্যস্থল হয়ে ওঠে ধামড়া পোর্ট। তার পরেও আতঙ্ক যাচ্ছে না বালাসোরের। বহু এলাকা শুনশান। প্রাণ হাতে নিয়ে অধিকাংশ মানুষজনই উঠেছেন বাড়ি থেকে বহু দূরের আশ্রয় শিবিরে।
আরও পড়ুন-গ্রামবাসীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, ত্রিপল-মাস্ক বিলি, YAAS মোকাবিলায় Kanti Ganguly
ঝড-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বালাসোরে পৌঁছে যায় জি ২৪ ঘণ্টা। সমুদ্র তীরবর্তী বহু এলাকায় গিয়ে দেখা যায় জায়গায় জায়গায় মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। কেউবা আশ্রয় শিবিরের দিকে পা বাড়িয়েছেন। সমুদ্রের তীরে অধিকাংশ গ্রামে মত্সজীবীদের বাস। সেগুলি অধিকাংশই ফাঁকা। এক মহিলা জানালেন, মানুষ বেঁচে থাকলে ঘর নিয়ে কাজ হবে। আর মানুষ মরে গেলে ঘর নিয়ে আর কী হবে। সেই জন্যই চলে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন-ইয়াসের (YAAS) মোকাবিলায় খামতি চাইছে না প্রশাসন, প্রস্তুত ভারতীয় সেনাও
মঙ্গলবার থেকেই বালাসোরে বইছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। ট্রলার নিয়ে যাঁরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তাদের খাওয়া দাওয়া মাথায় উঠেছে। নৌকোগুলিকে প্রাণপণে বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। মাটির সঙ্গে শক্ত খুঁটোর সঙ্গে বেঁধে ফেলছেন নৌকোগুলিকে। অনেকেই বক্তব্য, যতটা পারি করছি। প্রবল ঝড়, জল এলে কী হবে জানি না। এমন ঝড় বালোসোরে অনেকেই দেখেননি বলে দাবি অনেকের।