নিজস্ব প্রতিবেদন— করোনাভাইরাসের ধারক ও বাহক বাদুর। প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়াতে শুরু করার পর এমনটাই মনে করা হয়েছিল। তার পর থেকে বাদুর দেখলেই যেন আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বেলঘাট এলাকায় কয়েকশো বাদুরের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়াল। গ্রামবাসীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বন দফতরে খবর দেন। ছুটে আসেন বন দফতরের কর্তারা। প্রাথমিক তদন্তের পর কর্তারা জানিয়েছেন, অত্যধিক গরমের ফলেই বাদুরদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত কয়েকটি বাদুর  Veterinary Research Institute (IVRI)—এ পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেলঘাট এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ শাহি বলেছেন, ''আমার বাড়ির সামনে একটি আম গাছের নিচে অনেক বাদুর মরে পড়ে ছিল। কিছু বাদুর মাটিতে পড়ে ছটফট করছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেগুলিও মারা যায়। এমন ঘটনা এখানে আগে কখনও ঘটেনি। সারা দেশে এখন করোনারভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাই আমরা ভয় পেয়ে যাই। এর পর বন দফতরে খবর দেওয়া হলে আধিকারিকরা এসে দেখেন। গরমের সময় বাড়ির বাইরে জল রাখতে বলা হয়েছে আমাদের। যাতে বাদুররা গরমে জলের অভাবে মারা না যায়। আমাদের এখানে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল গরম। নদী—নালা সব শুকিয়ে গিয়েছে।'' 


আরও পড়ুন— খাবার, জল ছাড়া বেঁচে ছিলেন ৭৬ বছর! গুজরাটের সাধু মারা গেলেন ৯০ বছর বয়সে


বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গোরক্ষপুরের ওই এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে টানা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম পড়ছে। ফলে অত্যধিক গরমের কারণেই এতগুলি বাদুরের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ আদৌ গরম নাকি অন্য কিছু সেটা পরীক্ষার পরই জানা যাবে। IVRI—এর পক্ষ থেকে রিপোর্ট দেওয়া হলে এতগুলি বাদুরের মৃত্যুর আসল কারণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার অবিনাশ কুমার।