খাবার, জল ছাড়া বেঁচে ছিলেন ৭৬ বছর! গুজরাটের সাধু মারা গেলেন ৯০ বছর বয়সে

১৪ বছর বয়স থেকেই নাকি তিনি খাবার, জল ছাড়া বেঁচে রয়েছেন।

Updated By: May 27, 2020, 12:13 PM IST
খাবার, জল ছাড়া বেঁচে ছিলেন ৭৬ বছর! গুজরাটের সাধু মারা গেলেন ৯০ বছর বয়সে

নিজস্ব প্রতিবেদন— প্রহ্লাদ জানি। লোকে বলে চুনরিওয়ালা মাতাজি। গুজরাটের এই সাধু দাবি করেছিলেন, তিনি ৭৬ বছর ধরে বেঁচে ছিলেন খাবার, জল ছাড়া। গুজরাটের গান্ধীনগরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন শিষ্যরা। ৯০ বছরের এই সাধু স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। গোটা গুজরাটেই অবশ্য চুনরিওয়ালা মাতাজির অগণিত ভক্ত। ২০০৩ ও ২০১০ সালে দুবার বিজ্ঞানীরা চুনরিওয়ালা মাতাজির উপর গবেষণা চালিয়েছিলেন। সত্যিই কি তিনি ৭৬ বছর ধরে খাবার ও জল ছাড়া বেঁচে ছিলেন! বাস্তবে কি সেটা কখনও সম্ভব!

চুনরিওয়ালা মাতাজির দাবি ছিল, বেঁচে থাকার জন্য আর পাঁচজনের মতো তাঁর খাবার ও জলের প্রয়োজন পড়ে না। শ্বাস—প্রশ্বাসটুকু রয়েছে মানেই তিনি জীবিত রয়েছেন! আর তাঁকে রক্ষা করছেন ঈশ্বর। বনসকাথা জেলায় অম্বাজি মন্দিরের কাছে একটি গুহার ভিতর চুনরিওয়ালা মাতাজির আশ্রম রয়েছে। তাঁর মৃতদেহ এদিন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই তাঁকে চরাদায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি জীবনের শেষ কয়েকটা দিন নিজের পুরনো জায়গায় কাটাতে চেয়েছিলেন। আশ্রমে তাঁর মরদেহ রাখা থাকবে দুদিন। সেখানে ভক্তরা এসে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। তার পর আশ্রমেরই একটি অংশে তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।

আরও পড়ুন— নতুন অশান্তি! ভারত—পাক সীমান্তে জন্মাতে পারে আট হাজার কোটি পঙ্গপাল

দেবী অম্বার পরম ভক্ত ছিলেন এই সাধু। আর সেই জন্য তিনি সব সময় লালা শাড়ি পরে থাকতেন। এমনকী সিঁথিতে সিঁদুরও দিতেন। অনেক ছোট বয়সে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আধ্যাত্মিক চর্চা করবেন বলে। এর পর ১৪ বছর বয়স থেকেই নাকি তিনি খাবার, জল ছাড়া বেঁচে রয়েছেন। গত ৭৬ বছরে তিনি একবারও নাকি খাবার বা জল স্পর্শ করেননি। Defence Institute of Physiology and Allied Sciences (DIPAS) ২০১০ সালে তার উপর গবেষণা চালিয়েছিল। ১৫ দিন ধরে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল, কীভাবে তিনি খাবার ও জল ছাড়া বেঁচে রয়েছেন! পরে জানানো হয়, প্রহ্লাদ জানি এভাবেই বেঁচে থাকা অভ্যেস করে ফেলেছেন। 

.