জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিড-ডে মিলল মরা টিকিট। সেই খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ ১০ জনরেও বেশি পড়ুয়া। ইতিমধ্যেই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার ভদ্রক জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে এই স্কুলের পড়ুয়ারা মিড-ডে মিলের খাবার খায়। খাওয়ার পরই বমি ও অস্বস্তি অনুভব করতে শুরু করে পড়ুয়ারা। স্কুল কর্তৃপক্ষ খাবারের মধ্যে থেকে মৃত টিকটিকি-কে দেখতে পায়। তারা খাবার পরিষেবা বন্ধ করার অনুরোধ জানায়।


আরও পড়ুন: Delhi: কুয়োর ৪০ ফুট গভীরে আটকে শিশু, উদ্ধারকাজ 'লম্বা' হওয়ার আশঙ্কা এনডিআরএফ-এর


স্কুলটির নাম ভদ্রক জেলার এলেখা প্রকল্প ইউপি স্কুল। হাসপাতাল থেকে জানা গিয়েছে পড়ুয়াদের অবস্থা আশংকাজনক। ব্লক এডুকেশন অফিসার চক্রধর মল্লিক, বিধায়ক সঞ্জীব মল্লিক এবং সিডিএমও হাসপাতালে অসুস্থ পড়ুয়াদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন এবং তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন।


বিধায়ক সঞ্জীব মল্লিক ঘটনাটির তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তদন্তের পরে দোষী ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।


এই ১০ জন পড়ুয়া যে দূষিত খাবার খেয়েছিল, যেটি স্কুলের কেন্দ্রীয় রান্নাঘরে তৈরি করা। পড়ুয়ার অসুস্থ বোধ করার তৎক্ষণাৎ নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদাণ করা হয়। ঘটনার পর রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্কুলে পৌঁছান এবং তাঁরা প্রাঙ্গন পরিদর্শন করেন।


আরও পড়ুন: Election Commissioner Arun Goel Resigns: লোকসভার দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই ইস্তফা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের, তুঙ্গে জল্পনা


৪ মার্চ অন্য একটি ঘটনায় ঘটে একই জেলায়। একটি স্কুলের ২৫ জনের মতো পড়ুয়া মরা টিকটিকি দ্বারা দূষিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁদেরও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।


শিশুদের এই মিড-ডে মিল নিয়ে  ছিনিমিনি যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। একাধিক স্কুলে মিড ডে মিলের জন্য রান্না করা খাবারে কখনও মিলেছে সাপের বাচ্চা, কখনও মিলেছে মরা টিকটিকি। যা দেখে প্রায় আতঙ্কিত সকলেই। নিজেদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেজায় চিন্তিত অভিভাবকেরা।  বাংলাতেও বিভিন্ন সময় এমন ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)