নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ট্যান স্বামী উগ্রবাদী, না মাওবাদী, না সমাজকর্মী-- সেটাই এক অংশের কাছে এখনও ধোঁয়াশায় ভরা। ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যু হল তাঁর। অশক্ত, রুগ্ণ তিনি বহুদিন ধরেই আদালতের কাছে তাঁর চিকিত্‍সা করানোর অনুমতি চেয়ে আসছিলেন। অবশেষে অনুমতি মিলল, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। আর তাঁর মৃত্যুর পরই দেশের বিরোধী শক্তি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কড়া সমালোচনা শুরু করেছে। এর মধ্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্ট্যানের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাম নেতৃত্ব। বেশ কয়েক মাস যাবৎ স্ট্যান অসুস্থ ছিলেন। পারকিনসন্স-সহ একাধিক রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছিল তাঁর। জেলে একাধিক বার তিনি গুরুতর অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। বিশেষ সূত্রের খবর ছিল, কারাগারে তিনি কোভিড-আক্রান্তও হয়েছিলেন। কিন্তু যা-ই হোক না কেন উপযুক্ত চিকিত্‍সা পাননি স্ট্যান। উদাসীনতা ও সময় মতো চিকিৎসা পরিষেবা না দেওয়ার কারণেই স্ট্যানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বামেরা। এর প্রতিবাদে আজ রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেছেন বামেরা। 


আরও পড়ুন: কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বড় ক্ষতি! GST সংগ্রহের পরিমাণ কমল ১ লক্ষ কোটি


প্রতিবাদ উঠেছে কংগ্রেসের শিবির থেকেও। কংগ্রেসের গোয়া শাখা স্ট্যানের মৃত্যুতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, Activist এবং Jesuit priest Stan Swamy-র এই মৃত্যু এক ধরনের custodial killing। তারাও আজ  পানাজিতে আজাদ ময়দানে প্রতিবাদ জানিয়েছে। Goa Congress chief Girish Chodankar টুইটারে লিখেছেন-- বন্দি Swamy-কে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় পরিষেবাটুকুও কারাগারে দেওয়া হয়নি। এই মৃত্যুকে তিনি দমনপন্থী কেন্দ্রীয় সরকারের 'brutality' বলেও উল্লেখ করেন।


কিন্তু শুধু দেশের মধ্যে আটকে নেই ব্যাপারটা। স্ট্যানের মৃত্যু রাতারাতি আন্তর্জাতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কেননা রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও তাদের মত ব্যক্ত করেছে। 


United Nations পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, স্ট্যানের এই কারাবন্দিত্ব দাঁড় করানো হয়েছিল 'fales charges of terrorism'
-এর উপর। UN-এর তরফে Ms Lawlo একটি টুইট করে জানিয়েছেন, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী স্ট্যানের এই নমাসের বন্দিত্ব  ভুয়ো চার্জের উপর ভিত্তি করে করা হল। 


পরে European Union's Special Representative for Human Rights Eamon Gilmore রাষ্ট্রসঙ্ঘের Ms Lawlore-র টুইটটিই রি-টুইট করে জানান,  আদি জনগোষ্ঠীর হয়ে, তাঁদের অধিকারের পক্ষে কথা-বলা ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে তিনি খুবই মর্মাহত। 


যদিও অভিযোগের তির যাদের দিকে সেই কেন্দ্রে বিজেপি সরকার জানিয়ে দিয়েছে স্ট্যানের সঙ্গে পুরোপুরি মানবিক আচরণই করা হয়েছে। চিকিত্‍সা চলাকালীন ৫ জুলাই তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। অমিত মালব্য সমস্ত অভিযোগের দায়  ঝেড়ে ফেলে জানিয়েছেন, ফাদারের ইচ্ছানুযায়ীই তাঁকে JJ Hospital-য়ে না পাঠিয়ে ২৮ মে তাঁকে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল বান্দ্রার Holy Family Hospital-য়ে। আগে বম্বে হাইকোর্টই ফাদারের আবেদন নাকচ করে দেয়। 


মালব্য  পরিষ্কার করে উল্লেখ করেছেন, জুডিশিয়াল কাস্টডিতে Fr. Stan Swamy-কে হাসপাতালে আলাদা সেলে রাখা হয়েছিল। তাঁর পক্ষে অপরিহার্য ও জরুরি সমস্ত পরিষেবা তাঁর সামনে মজুত রাখা হত। দুজন অ্যাটেন্ড্যান্ট ছিলেন। হুইল চেয়ার, ওয়াকার,, ওয়াকিং  স্টিক, এমনকি তাঁর হিয়ারিং এইডের ব্যাটারির দিকে পর্যন্ত খেয়াল রাখা হত।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Activist Stan Swamy-র মৃত্যু, স্তব্ধ হল আদিবাসী অধিকারের দাবিতে সরব এক কন্ঠ