Activist Stan Swamy-র মৃত্যু, স্তব্ধ হল আদিবাসী অধিকারের দাবিতে সরব এক কন্ঠ
রবিবার থেকেই ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি। আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসুস্থ ছিলেন। আদালতে আবেদন করেছিলেন চিকিত্সা করানোর জন্য। অনেক টানাপড়েনের পরে তাঁর চিকিত্সা শুরুও হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। আজ, সোমবার প্রয়াত হলেন সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী।
সরকারি হাসপাতালে খারাপ অভিজ্ঞতার কারণে ভর্তি হতে নারাজ ছিলেন Stan swamy। মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৮৪। আদিবাসী অধিকারের জন্য তিনি তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ভীমা-কোরেগাঁও (Bhima-Koregaon Case) হিংসা মামলায় তিনি প্রায় এক বছর জেলবন্দি ছিলেন।
আরও পড়ুন: নতুন সাজে মোদীর মন্ত্রীসভা, মন্ত্রীত্ব পেতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য-সর্বানন্দ
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা খ্রিস্টান মিশনারি স্ট্যান রবিবার থেকেই ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্য়ু হল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২৮ মে থেকে মুম্বইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। স্ট্য়ান স্বামী ও তাঁর সঙ্গীদের আদালতের নির্দেশে নভি মুম্বইয়ের তালোজা জেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা বারবার জেলের অব্যবস্থা ও অপর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
The National Investigation Agency (NIA) গত অক্টোবরে গভীর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল। যা নিয়ে বিপুল সমালোচনা হয়েছিল। গত আটমাসে স্ট্যানের শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হয়। Stan Swamy হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, Navi Mumbai-এর Taloja prison-য়ে তাঁর শরীরের নিয়মিত অবনতি ঘটছে। যদি তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন না দেওয়া হয় তবে তাঁর মৃত্যুও ঘটতে পারে। তিনি চিকিত্সা করানোর জন্য বহুবারই জামিন চেয়েছেন।
NIA তাঁকে চিকিত্সা করানোর জন্য জামিন দিতেও নারাজ ছিল। তারা বলেছিল ওঁর কোনও রোগ নেই। যদিও জানা গিয়েছে তিনি Parkinson's disease-য়ে ভুগতেন। Stan Swamy-কে তারা মাওবাদী অ্যাখ্যা দিয়ে বলেছিল তিনি দেশে অস্থিরতা আমদানি করেছেন।
আদালতের তরফে মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে, তা তিনি খারিজ করে দেন। এরপর গত সপ্তাহেই তিনি ফের আদালতে জামিনের আবেদন জানান।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: CoWIN এবার গ্লোবাল! অ্যাপটি ব্যবহার করতে আগ্রহী বিশ্বের একাধিক দেশ