IAF Helicopter Crash: `ব্যতিক্রমী সৈনিক, রাওয়াতের সেবার কথা দেশ মনে রাখবে`: মোদী
প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, রাওয়াত ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী সৈনিক
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডিমাপুরে রক্ষা পেলেও কুন্নুরে আর শেষরক্ষা হল না। বায়ুসেনার কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দেশের প্রথম সিডিএস বিপিন রাওয়াতের। একই সঙ্গে মৃত্যু হল ওই Mi-17V5 কপ্টারে থাকা আরও ১৩ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতও।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে এক শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, তামিলনাড়ুকে কপ্টার দুর্ঘটনায় আমরা হারিয়েছি জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে। তাঁর মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। রাওয়াতের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে অন্যান্য সেনা আধিকারিকের। এরা সবাই দেশের জন্য কাজ করেছেন। শোকাহত ওইসব পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল।
প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, রাওয়াত ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী সৈনিক। এক প্রকৃত দেশপ্রেমী রাওয়াত আমাদের সেনা বাহিনীকে আধুনিক করার জন্য অনেক কিছুই করেছিলেন। তাঁর দুরদর্শীতা ছিল একেবারে অন্যরকম। তাঁর চলে যাওয়ায় আমি শোকাহত। দেশের প্রথম সিডিএস হিসেবে সেনার বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করেছেন। ভারতে তার সেবার কথা ভুলবে না।
আরও পড়ুন-IAF Helicopter Crash: দুর্ঘটনার কবলে Bipin Rawat, জানুন অত্যাধুনিক রুশ Mi-17V5-এর খুঁটিনাটি
উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে কুন্নুর গন্তব্যের পৌঁছনোর ৫ মিনিট আগেই ভেঙে পড়ে রাওয়াতের Mi-17V5 কপ্টার। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা এসে ধাক্কা মারে একটি গাছে। পরে আরও কয়েকটি গাছে ধাক্কা মেরে সেটিতে আগুন লেগে যায়। প্রথম ৫ জনের মৃত্যুর খবর এলেও পরে ধীরে ধীরে খবর আগে সিডিএস বিপিন রাওয়াতও আর নেই।
রাওয়াতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। টুইট করে রাজনাথ জানিয়েছেন, বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনা। রাওয়াতের মৃ্ত্যুতে দেশের অপুরণীয় ক্ষতি হল।
উল্লেখ্য, সেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মৃত্যু এই প্রথম নয়। ১৯৬৩ সালে পুঞ্চে একই রকম এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ সেনা আধিকারিকের। পুঞ্চে এক বিদ্যুত্ সরবারহ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়ার পথে তার নিহত হন।