Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট
ভিন্নমত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কি তাঁর সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারেন স্বামী? বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) কি অপরাধ? দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। সহমত হলেন না ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। মামলাটি এবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে তিন বিচারপতির বেঞ্চে।
বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ককে কি আদৌ ধর্ষণ বলা যায়? অনেকের মতে, বৈবাহিক ধর্ষণের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এই ধারণাটি পশ্চিমি সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এমনকী, আইনের চোখেও বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়। কেন নয়? বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, বিয়ের পরেও যদি স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, সেক্ষেত্রে তা অপরাধ বলে গণ্য করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিডিশন আইন নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের, জামিনের আবেদন করতে পারবেন অভিযুক্তরা
ধর্ষণের মতো অপরাধে কেন ছাড় দেওয়া হবে স্বামীকে? ধর্ষণ আইনের ব্যতিক্রমী ধারাটি যখন 'অসাংবিধানিক' বলে রায় দিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজীব শাকধের, তখন ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের অপর বিচারপতি হরি শঙ্করের। তাঁর মতে, ধর্ষণ আইনের ব্য়তিক্রমী ধারাটি সংবিধানের পরিপন্থী নয়। কারণ, স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্যের কারণেই একমাত্র এই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যা কখনই সে অর্থে অপরাধ বলে গণ্য় করা সমীচীন নয়।
এর আগে, বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণকে যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ বলে রায় দিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চে ২ বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত নয়। যদিও এই বিষয়টিকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের পর্যায়ে ফেলা হয়'। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'শরীরই হোক কিংবা আত্মপরিচয়, স্ত্রীর কোনও কিছুর উপরই কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না স্বামী। স্ত্রী-শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে সেটা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়'।