ডেঙ্গিতে ১৫ দিনে ১৬ লক্ষ টাকার বিল! তবুও শেষ রক্ষা হয়নি আদ্যার
চিকিত্সকরা জানান, আদ্যার মস্তিষ্কের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে, যা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এরপর চিকিত্সকরা প্লাজমা ট্রিটমেন্ট শুরু করেন।
সংবাদ সংস্থা: মাত্র ১৫ দিনে ১৬ লক্ষ টাকার বিল! তবুও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি বছর সাতের আদ্যাকে। এমন বেনজির ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৩১ অগস্ট প্রবল জ্বর নিয়ে আদ্যাকে ভর্তি করা হয় গুরুগ্রামের ফর্টিস হাসপাতালে। আদ্যার অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে, তাকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ)-তে রাখেন ফর্টিসের চিকিত্সকরা। সেখানে ১৫ দিন ধরে চলে চিকিত্সা। অবশেষে চিকিত্সকরা জানান, আদ্যার মস্তিষ্কের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে, যা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। এরপর চিকিত্সকরা প্লাজমা ট্রিটমেন্ট শুরু করেন। এতেই ১৫ লক্ষের বেশি বিল হয় বলে আদ্যার বাবা জয়ন্ত সিং অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন- বান্দিপোরার পর হান্দওয়ারা, গুলির লড়াইয়ে খতম ৩ পাকিস্তানি জঙ্গি
জয়ন্ত সিং জানান, ২৭ অগস্ট থেকে জ্বর আসে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আদ্যার। প্রথমে দ্বারকার রকল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় চিকিত্সকরা আদ্যাকে বড় হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর ফর্টিসে নিয়ে আসা হয়। আদ্যার বাবা আরও জানান, এই ক’দিন চিকিত্সা চলাকালীন ব্যবহৃত হয়েছে ৬৬১টি সিরিঞ্জ, ২৭০০ গ্লাভস। কিন্তু বিপুল অঙ্কের টাকা চার্জ করলেও সঠিক চিকিত্সা হয়নি বলে অভিযোগ করেন জয়ন্ত সিংহ। তিনি বলেন, “ছুটির দিনে আদ্যাকে দেখার জন্য কোনও ডাক্তার থাকত না।”
কীভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলি বেআইনিভাবে বিল করছে, তা নজরে আনতে ফোর্টিস হাসপাতালের বিল এবং রিপোর্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন আদ্যার পরিবার। রীতিমতো ভাইরাল হয়ে ওঠে এই খবর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত্ প্রকাশ নাড্ডা টুইট করে পরিবারকে সমস্ত তথ্য ইমেলে পাঠানোর কথা বলেন। পাশাপাশি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দেন।
আরও পড়ুন- জঙ্গি জীবন ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরুন, কাশ্মীরে ‘মদত’ কেন্দ্রীয় হেল্পলাইনের
ফর্টিসের তরফে যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয় পুরো বিলই নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে। তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য দেওয়া হয়েছে ওই বিলে।