নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আজ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিক্ষোভের মাঝে ৭০ আসনের দিল্লির ভোটযুদ্ধ পেয়েছে আলাদা মাত্রা। ১.৪৭ কোটি ভোটার নির্ধারণ করবেন প্রার্থীদের ভাগ্য। দিল্লিতে এবারও ত্রিমুখী লড়াই। ময়দানে আম আদমি পার্টি, বিজেপি ও কংগ্রেস। ৭০টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আপ। তবে শরিকদের সঙ্গে নিয়ে লড়ছে বিজেপি ও কংগ্রেস। এলজেপি ও জেডিইউ-কে ৩টি আসন ছেড়ে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস লালুপ্রসাদের আরজেডি-কে ছেড়েছে ৪টি আসন।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ বছর আগে দিল্লির বিধানসভা ভোটে ঝাড়ুঝড় দেখেছিল গোটা দেশ। লোকসভা ভোটে কিন্তু, রাজধানীর ৭টি লোকসভা আসনই দখল করে বিজেপি। জানুয়ারি শেষ দিক থেকে শাহিনবাগে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে সামনে রেখে কেজরিওয়ালকে নিশানা করা আরম্ভ করেন বিজেপি নেতারা। অমিত শাহ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, অনুরাগ ঠাকুর এবং প্রবেশ বর্মা, কপিল মিশ্রদের মতো স্থানীয় নেতাদের মুখে গত ক'দিন শাহিনবাগ ছাড়া কোনও কথা শোনা যায়নি। শাহিনবাগ, জামিয়ায় জাতীয় পতাকার আড়ালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও অভিযোগ করেছেন।


জল-বিদ্যুত-স্বাস্থ্য-শিক্ষা-মহিলাদের নিরাপত্তায় সরকারের পদক্ষেপই কেজরিওয়ালের ভরসা। অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে পক্ষে প্রচার, শাহিনবাগের আন্দোলনকে আক্রমণ করে ভোটের বাজারে, ভেসে থাকতে চাইছে বিজেপি। ১৭০০ অবৈধ কলোনির ৪০ লক্ষ বাসিন্দার জমির অধিকারে সংসদে আইন পাসও তাদের হাতিয়ার। দিল্লির দূষণও ভোটের ইস্যু। তবে, জোড়-বিজোড় নিয়ম চালু করায় কেজরিওয়ালের পদক্ষেপে অখুশিনন অনেকেই। রয়েছে, সিলিং নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রবল ক্ষোভও। 


রাজনৈতিক মহল বলছে দিল্লি ভোটে প্রভাব ফেলতে চলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপি-র কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নেই। রাজধানীর ভোটে নরেন্দ্র মোদীই দলের মুখ। দিল্লির প্রায় ২৫টি বিধানসভা আসনে রয়েছেন, ৩০% বিহার-ঝাড়খণ্ড-উত্তরপ্রদেশের ভোটার। যাদের ভোটের বড় অংশই এবার আপের ঝুলি ভরাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে না থাকলেও কংগ্রেস যদি, নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে পারে, তাহলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে পারে আপ। 


মেরুকরণের আবহে উন্নয়নের দাবি। এককথায় বলা যায় দিল্লি ভোটের ক্যাচলাইন এটাই। শাহিনবাগ কি খেলা পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিল? তা যদি নাও হয় তা হলেও বিজেপিকে সম্মানজনক আসন অন্তত এনে দিতে পারল? নাকি, ভোটের ফলে দেখা যাবে, এসবে পাত্তা না দিয়ে প্রায় আগের মতোই কেজরিতে আস্থা অটুট দিল্লিবাসীর? উত্তর মিলবে মঙ্গলবার। 


আরও পড়ুন- দাদা, কাঁচা চিট্টা খুলে দিলে আপনি আঘাত পাবেন, লোকসভায় সৌগতকে হুঙ্কার মোদীর