দাদা, কাঁচা চিট্টা খুলে দিলে আপনি আঘাত পাবেন, লোকসভায় সৌগতকে হুঙ্কার মোদীর
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ঠাঁই পেল পশ্চিমবঙ্গও।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার লোকসভায় রণংদেহি মেজাজে নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই উঠে দাঁড়িয়ে সৌগত রায় বিরোধিতা শুরু করেন। কিন্তু থাকে থামিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,''দাদা, পশ্চিমবঙ্গে কাঁচা চিট্টা খুলে দিলে আপনি আঘাত পাবেন।''
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ঠাঁই পেল পশ্চিমবঙ্গও। রীতিমতো আগ্রাসী মেজাজে নাম না করে তৃণমূল সরকারকে বিঁধলেন মোদী। সিএএ নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে চান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বর্ষীয়ান সাংসদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''দাদা, পশ্চিমবঙ্গে নির্যাতিত লোকেরা এখানে বসে আছেন। ওখানে কী চলছে জানি। কাঁচা চিট্টা খুলে দিলে আপনি আঘাত পাবেন। সব জানি পশ্চিমবঙ্গে নির্দোষদের কীভাবে মারা হয়!''
নেহরুর নাম না করে আরও একবার দেশভাগের জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,''প্রধানমন্ত্রীর পদের অভীপ্সায় কেউ দেশ ভাগ করেছিলেন। ভারতের মানচিত্রের উপর দিয়ে লাইন টানা হয়েছিল। দুভাগে ভাগ হয়েছিল ভারত। দেশভাগের জন্য হিন্দু, শিখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপরে কল্পনাতীত নির্যাতন হয়েছে।''পাকিস্তান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে নেহরুর অবস্থানও তুলে ধরেন মোদী। তাঁর কথায়, ১৯৫০ সালে নেহরু ও লিয়াকতের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিভেদ করা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, নেহরুর মতো বিরাট ধর্মনিরপেক্ষ, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ, আপনাদের কাছে সব কিছু, কেন সাধারণ নাগরিক না ব্যবহার করে সংখ্যালঘু শব্দের ব্যবহার করেছিলেন?
বিরোধিতার মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সরকার যে উল্টো পথে চলবে না তা আরও একবার লোকসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী। বলেন,''আমি পরিষ্কার বলছি, সিএএ আসছে। ভারতের কোনও নাগরিকের উপরে প্রভাব পড়বে না। সংখ্যালঘুদের স্বার্থেও আঘাত করবে না সিএএ।''
আরও পড়ুন- বধূ নির্যাতনের মামলায় চাপে শামি, নিম্ন আদালতের রায়ে ক্ষোভপ্রকাশ হাইকোর্টের