নিজস্ব প্রতিবেদন- গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাল ছাড়তে নারাজ। সংক্রমণের মাত্রা প্রচণ্ড বেড়ে গেলেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করছে হু। আর এক্ষেত্রে মুম্বাই এর ধারাভি বস্তির উদাহরণ দিচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম বলেছেন, ''মানছি সংক্রমনের হার বেড়েছে। তবে এই মুহূর্তে পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যাওয়ার পরেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতালি, স্পেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এই তিনটি দেশেই পরিস্থিতি প্রায় হাতের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু কয়েকটি সহজ পথ অবলম্বন করে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া গিয়েছিল। টেস্টিং, ট্রেসিং, আইসোলেটিং আর ট্রিটিং। এই বেসিক নিয়মগুলি মেনে চলতে পারলে সংক্রমণের হার বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাব। ঠিক যেভাবে ধারাভি বস্তির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।  অসুস্থদের আইসোলেট করেই ধারাভিতে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছে হু। আর তাই এই বেসিক নিয়ম গুলির পালন করতে বলছে তারা।  হু জানিয়েছে এই মুহূর্তে টেস্টিং, ট্রেসিং, আইসোলেটিং আর ট্রিটিং ছাড়া কোনও বিকল্প রাস্তা নেই। কারণ টিকার আবিষ্কার হয়নি এখনও।


আরও পড়ুন- আপাতকালীন পরিস্থিতিতে মিলল করোনা রোগীদের Itolizumab ইঞ্জেকশন দেওয়ার অনুমতি


এরই মধ্যে বাতাসের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে বলে খবর প্রকাশ হওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। হু ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছ, করোনা রোগীর চিকিৎসার সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটতেও পারে। কারণ, বেশ কিছু মেডিকেল পদ্ধতির সময় অতি-ক্ষুদ্র জলকণা (এরোসল ড্রপলেট)  ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া অন্য কোনও ক্ষেত্রে বায়ুবাহিত সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হু।