নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ডাউরি ক্যালকুলেটর ডট কম' নিয়ে সমালোচনার মুখেও অনড় 'সৃষ্টিকর্তা' তনুল ঠাকুর। শনিবার তিনি স্পষ্ট জানালেন, সাইটটি বন্ধ করবেন না। তাঁর মতে, ভাল করে খতিয়ে দেখলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বুঝতে পারতেন যে এটা মস্করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

www.dowrycalculator.com ওয়েবসাইট খবরের শিরোনামে আসে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর একটি চিঠি ঘিরে। দিন কয়েক আগে এই ওয়েবসাইট বন্ধ করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী। তিনি লিখেছেন, ''আইন ভেঙে পণে উত্সাহ দিচ্ছে ডাউরি ক্যালকুলেটর। শীঘ্রই এটি বন্ধ করে মালিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হোক।'' ওয়েবসাইটটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ''আমার নজরে সাইটটি এসেছে। এটা খুবই লজ্জাজনক। ওয়েবসাইটের ডেভলপারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ভারতে পণ দেওয়া বা নেওয়া বেআইনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রককে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করছি।'' 


মানেকা ও জ্যোতিরাদিত্যের এহেন প্রতিক্রিয়ায় বেশ বিস্মিত ওয়েবসাইটের স্বত্বাধিকারী তথা পেশায় সাংবাদিক তনুল ঠাকুর। তাঁর কথায়, ''আমি অবাক হয়েছি, পণপ্রথা প্রচারের অভিযোগ করছেন মানেকা গান্ধী ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ওয়েবসাইটের মাপকাটিগুলি খতিয়ে দেখলে তাঁরা জানতে পারতেন, সামাজিক এই ব্যধির বিরুদ্ধে আদতে ব্যঙ্গ করা হয়েছে।''


বয়স, শিক্ষা ও মাসমাইনে অনুযায়ী কোনও পুরুষ কত পণ পেতে পারেন, তার হিসেব করতে পারে ৮ বছরের পুরনো www.dowrycalculator.com। সাংবাদিক থেকে ইঞ্জিনিয়ার সকলেই নিজের 'বাজারদর' দেখে নিতে পারেন। সাম্প্রতিক বিতর্কে সাইটটির ব্যবসা বেশ বেড়েছে। আর তা স্বীকার করেছেন তনুল ঠাকুর। 


আরও পড়ুন- শিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরছে পাস-ফেল প্রথা