নিজস্ব সংবাদদাতা: যমুনার জলে ভাসছে কয়েক ডজন লাশ! এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের গ্রামবাসীদের গ্রাস করেছে আতঙ্ক। তাঁদের আশঙ্কা, করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ সৎকার না করেই, যমুনার জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে এলে এত মৃতদেহ? প্রশাসনের কাছেও নেই কোনও স্পষ্ট উত্তর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ৮০ জন চিকিৎসক Corona সংক্রমিত, ভ্যাকসিন নিয়েও মৃত্যু সার্জেনের


জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে হামিরপুরের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা যমুনার জলে একাধিক মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, হরিমপুর-সহ আশপাশের এলাকায় করোনা সংক্রমণে হার অত্য়ন্ত বেশি। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ুর পরিমাণ এতটাই বেশি যে, শ্মশানে দেহ পোড়ানোর ব্য়বস্থা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় ফাঁকা মাঠে মৃতদেহ পোড়ানো হচ্ছে। অনেকে দেহ সৎকার না করে যমুনার জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। এই ঘটনার জন্য অনেকে আবার স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, বেশ কিছু গ্রামের মানুষ শ্মশানে না পুড়িয়ে, ফাঁকা মাঠে দেহ পোড়াচ্ছে। সবকিছু দেখেও চুপ প্রশাসন। কত দেহ পোড়ানো হচ্ছে, এমনকী সেই বিষয়েও প্রশাসনের কাছে কোনও হিসেব নেই।         


আরও পড়ুন:  বিপদের নাম 'ব্ল্য়াক ফাঙ্গাস', একগুচ্ছ সতর্কতা জারি কেন্দ্রের 


এই বিষয়ে হামিরপুরের অ্য়াসিট্য়ান্ট পুলিশ সুপার অনুপকুমার সিং জানান, কানপুর ও হামিরপুরের সীমানা বরাবর যমুনা নদী রয়েছে। এই নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া আশপাশের গ্রামের পুরোনো রীতি। মাঝে মধ্য়েই নদীতে একটা-দুটো দেহ ভাসতে দেখা যায়। তবে অতিমারিতে যেভাবে লাশের স্তূপ জমতে শুরু করেছে, এর থেকেই বোঝা যায় মৃত্য়ুর হার কত বেশি। তিনি আরও জানান, আতঙ্কের বশেই মৃতদেহ না পুড়িয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে প্রশাসনের ভূমিকা কী? সূত্রের খবর, এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।