West Bengal Governor: বাংলার রাজভবনে এবার প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সি ভি আনন্দ বোস
জগদীপ ধনখড়ের সময়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হতেই তাঁর জায়গায় অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্বে আসেন লা গণেশন। ধনখড়ের উত্তরসূরির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ মধুর
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লা গণেশনের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে আসছেন ডা সি ভি আনন্দ বোস। এনিয়ে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাষ্ট্রপতি ভবন। ১৯৭৭ সালের এই আইএএস বর্তমানে মেঘালয় সরকারে উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। জগদীপ ধনখড়ের সময়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হতেই তাঁর জায়গায় অস্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্বে আসেন লা গণেশন। ধনখড়ের উত্তরসূরির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ মধুর। এখন নতুন রাজ্যপাল এলে ধনখড়ের সময়ের সংঘাত ফিরবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন-কাতার বিশ্বকাপের এই সাতটি মজার তথ্য জেনে নিন
অত্যন্ত বৈচিত্রময় কেরিয়ার সি ভি আনন্দ বোসের। কেরালার কোট্টায়ামের বাসিন্দা তাঁর কেরিয়ার শুরু করেন জেলা শাসক হিসেবে। ১৯৭৭ সালের এই আইএএস জেলা শাসক থেকে চিফ সেক্রেটারি হন। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্বও সামলেছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বে তিনি ছিলেন।
সম্প্রতি সাংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, শীঘ্রই বাংলায় নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করা হবে। সেটাই শেষপর্যন্ত হল। সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বিজেপির সরাসরি যোগ তেমন ভাবে খাড়া করা যাবে না। তবে রাজ্যের জন্য এই নিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগ কেরালার রাজনীতিতে অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। কেরালার ভোটে বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে ডা সি ভি আনন্দ বোসকে অলিখিতভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে বিজেপি সূত্রে খবর। সেই রিপোর্ট তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জমা দেন। এনিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে কিছুই জানতেন না। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয় কেরালা বিজেপিতে। ফলে প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ একজন রাজ্যের রাজ্যপাল হচ্ছে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এদিকে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডা সি ভি আনন্দ বোসের আইনে জ্ঞাণ শুধুমাত্র একজন প্রশাসনিক কর্তা হিসেবেই নয় অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে। কেরালার পদ্মনাভ মন্দির নিয়ে যে বিতর্ক হয় তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। সেই কমিটির দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ছিলেন ডা সি ভি আনন্দ বোস। ফলে এমন একজনের বাংলার রাজ্যপাল হওয়া রাজ্য রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ রাজ্য রাজনীতিতে ধনখড়ের স্মৃতি এখনও তাজা। শাসকদলের একসময়ে অভিযোগ ছিল রাজভবন বিজেপির কার্যলয়ে পরিণত হয়েছে। লা গণেশন অস্থায়ী রাজ্যপাল হওয়ার পর সেই পরিস্থিতি বদলে যায়। তবে এবার একজন প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ রাজ্যপালের পদ আসায় তাঁর সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্কে কেমন হয় সেটাই দেখার।