নিজস্ব প্রতিবেদন- রুটিন পেট্রলিং করছিলেন ডিএসপি রত্নেশ তোমার ও বিজয় ভদরিয়া। সেই সময়ে ডাস্টবিনের সামনে থেকে কেউ যেন তাঁদের নাম ধরে ডাকছিলেন। দুজনেই প্রায় একসঙ্গে ফিরে তাকান। দেখেন আবর্জনা ভর্তি ডাস্টবিনের সামনে এক ভিখারি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাঁর পরনে ছেঁড়া পোশাক। মাথার চুলে জট পাকিয়েছে। সারা মুখে বহুদিনের না-কামানো দাড়ি। কোনওভাবেই সেই ভিখারিকে চিনতে পারলেন না দুজন। অথচ সেই ভিখারি তাঁদের দুজনের নাম ধরে ডেকে চলেছেন। সেই ভিখারীর কাছে গেলেন দুই অফিসার। খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন তাঁর দিকে। তারপরই দুই পুলিস অফিসারের চোখ কপালে উঠল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁদের সামনে ভিখারি বেশে যিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তিনি একসময়ের শার্প শুটার। ওই দুই অফিসারের ব্যাচমেট এসআই মণীশ মিশ্রা। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে আজ তাঁর এরকম অবস্থা হয়েছে। এরপর ওই দুই অফিসার মণীশকে নিকটবর্তী একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠান। আপাতত সেখানেই মানসিক ভারসাম্যহীন এসআইয়ের চিকিৎসা হবে। মণীশের ভাইও সরকারী উঁচু পদে চাকরি করেন। বাবা এবং কাকাও এএসপি পদে ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা উঁচু পদে চাকরি করেন। অথচ এমন সম্ভ্রান্ত বাড়ির ছেলে হয়েও মণীশের আজ দিন কাটে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে। স্ত্রীর সঙ্গে অবশ্য বহুদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।


আরও পড়ুন-  একবার বিধায়ক হলেই বাড়ি-গাড়ির ছড়াছড়ি, ইনি চারবারেও পাকা বাড়ি করতে পারলেন না!


১৯৯৯ ব্যাচের সাব-ইন্সপেক্টর ছিলেন মণীশ। ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি চাকরি করেছেন। গোয়ালিয়রের দাতিয়া জেলায় এসআই পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০০৫ সালের পর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারাতে শুরু করেন তিনি। তারপর বছর পাঁচেক বাড়িতেই ছিলেন। হঠাৎই একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বাড়ির লোক তাঁকে অনেক কষ্টে খুজে বের করে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখান থেকেও পালিয়ে যান মণীশ। তারপর আর বাড়ির লোকেরা তাঁর খোঁজ রাখেননি। এখন কোথায় থাকেন তা জানতেনই না বাড়ির কেউ। ওই দুই অফিসারের সঙ্গে মণীশের দেখা হওয়ার পর বাড়ির লোকজন তাঁর খোঁজ নিতে শুরু করেছে।