রাজীব চক্রবর্তী: আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজিরওয়াল, মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার গোটা আপ দলটাকেই ওই মামলায় যুক্ত করতে চলেছে ইডি। একরম এক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে হওয়া এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলে দিয়েছে, আদালত মামলা গ্রহণ করার পর ইডি অর্থ তছরুপ ধারার ১৯ এর অধীনে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-মেয়েদের তুলনায় ছেলেদেরই বেশি কামড়ার ডেঙ্গির মশা, কারণ জানলে তাজ্জব হবেন


সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ইডি যদি এই ধরনের কোনও অভিযুক্তের হেফাজত চায়, তবে তাদের বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী জামিন চেয়ে জামিনের শর্ত পূরণ করার প্রয়োজন নেই।


আদালত জানিয়েছে, এই আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী জামিন পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। কারণ এক্ষেত্রে বিচারককে ধরে নিতে হয় অভিযুক্ত এই অপরাধ করেননি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ তিনি করবেন না। যা অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়। জনৈক তারসেম লাল বনাম ইডি মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।


ওই রায়ে বলা হয়েছে, "সংশ্লিষ্ট আইনের ৪৪ ধারায় কোনও একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পিএমএলএ-এর ধারা ৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের স্বীকৃতি নেওয়ার পরে, অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো ব্যক্তিকে ১৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করার ক্ষমতা ইডির নেই।" আরও বলা হয়েছে,  অভিযোগ দায়ের না হওয়া পর্যন্ত ইডি যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে না করে থাকে, তবে বিশেষ আদালত মামলায় স্বীকৃতি নেওয়ার সময় অভিযুক্তকে সমন জারি করতে পারবে। ওয়ারেন্ট নয়।
আসামি জামিনে থাকলেও সমন জারি করতে হবে।


অর্থ তছরুপ মামলায় কোন অভিযুক্ত আদালতের সমন পেয়ে আদালতে হাজির হলে তাকে জামিনের আবেদন করতে হবে না। অর্থাৎ এমনটা ধরে নেওয়া যাবে না যে তিনি হেফাজতে রয়েছেন।
ইডি তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে আদালতে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)