ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠর বাড়িতে ইডি হানা! অবৈধ AK-47 সহ একাধিক কার্তুজ উদ্ধার
রাঁচির একটি বাড়ি থেকে দুটি একে ৪৭ রাইফেল বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সহযোগী প্রেম প্রকাশের সঙ্গে জড়িত একটি খনির কেলেঙ্কারির তদন্তের অংশ হিসাবে অভিযানের সময় ১০০ কোটি টাকাও পাওয়া যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লি, মহারাষ্ট্র কিংবা পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঝাড়খণ্ডেও এবার একাধিক এলাকায় সিবিআই- ইডি হানা। বুধবার সকালেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের একাধিক এলাকায় অভিযান চালাল এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরই মধ্যে হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। রাঁচির একটি বাড়ি থেকে দুটি একে ৪৭ রাইফেল বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সহযোগী প্রেম প্রকাশের সঙ্গে জড়িত একটি খনির কেলেঙ্কারির তদন্তের অংশ হিসাবে অভিযানের সময় ১০০ কোটি টাকাও পাওয়া যায়। তবে প্রেম প্রকাশ বা হেমন্ত সোরেন কেউই এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এই বন্দুকগুলি বেআইনি কিনা তা স্পষ্ট নয়, তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। ঝাড়খণ্ড, প্রতিবেশী বিহার, তামিলনাড়ু এবং দিল্লি-এনসিআর-এর ২০টি স্থানে অভিযান চলছে, ইডি সূত্রের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই এমনটাই জানিয়েছে। ইডির তরফে প্রকাশ করা একটি ছবিতে Ak-47 বন্দুকটিকে আলমারির দুটি ভিন্ন র্যাকে রাখা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে নোটিশ পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নিজের নামে পাথর খাদানের ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে।
যদিও বিহারে ইডি এবং সিবিআইয়ের এই অতিতৎপরতা আরজেডির সমালোচনার মুখে পড়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, সিবিআই এবং ইডি বিজেপির শাখা হিসাবে কাজ করছে। আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝাঁ বলেন ‘এই অভিযানকে ইডি, সিবিআই, বা আয়কর দফতরের এই অভিযান বলা উচিৎ নয়। বরং এটিকে বিজেপির অভিযানই বলা উচিৎ। এই সব কেন্দ্রীয় সংস্থা বিজেপির কথা মতোই কাজ করছে।