নিজস্ব প্রতিবেদন: ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের মুম্বইয়ের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে শীর্ষ কর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এরপরই রানা কাপুরের মুম্বইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডি কর্তারা।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রানা কাপুর দাবি করেছেন, গত ১৩ মাসে ধরে ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ। এব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ জানেন না। বলে রাখি, ২০১৯ সালে বেসরকারি সংস্থাকে ইয়েস ব্যাঙ্কে তাঁর অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেন রানা কাপুর। তখনই ইয়েস ক্যাপিটাল ও মর্গ্যান ক্রেডিট-ও তাদের অংশ বেচে দেয়।            


এদিন নির্মলা সীতারমন ইয়েস ব্যাঙ্কের বিপর্যয়ের দায় চাপিয়েছেন কংগ্রেসের ঘাড়ে। তাঁর কথায়,''বিরোধীরা আঙুল তুলছে। ওদের দোষারোপ করব না যদিও আমার কাছে কারণ রয়েছে।'' তাঁর অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজকর্মের জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জে মুখে পড়েছে কেন্দ্র। তিনি বলেন,''বেশ কয়েকটি কর্পোরেটকে ধার দেওয়ায় ২০১৪ সালের আগে থেকে চাপে পড়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। ওরা বলছে, ইয়েস ব্যাঙ্ক নো ব্যাঙ্ক। এটা বলছে স্বঘোষিত ডাক্তাররা, যারা ইউনাউটেড ওয়েলস্টার্ন ব্যাঙ্ককে জোর করে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংযুক্ত করেছি। আইডিবিআই ডুবেছিল।''


বুধবার আরবিআই নির্দেশিকা জারি করে, এক মাসের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা ৫০,০০০ টাকার বেশি তুলতে পারবেন না। ড্রাফট বা পে-অর্ডারের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নেই। বিশেষ ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ছাড়। অসুস্থতা, পড়াশুনো ও বিয়ের জন্য ৫০ হাজারের ঊর্ধ্বসীমা প্রযোজ্য নয়। ইয়েস ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএফও প্রশান্ত কুমারকে। ব্যাঙ্কের ২০ হাজার কর্মী বেতনও পাবেন।


আরও পড়ুন- আর মিস হবে না ভবতারিণীর সন্ধ্যারতি, পুজোর আগেই মেট্রোয় জুড়ছে দক্ষিণেশ্বর