বিদেশমন্ত্রকের কাছে বালাকোটে বিমান হানার উদ্দেশ্য জানতে চাইল সংসদীয় কমিটি
গতকালই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে সত্যতার প্রমাণ দিক কেন্দ্র
নিজস্ব প্রতিবেদন: তখনও ভারতের মাটি স্পর্শ করেননি বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ঘরের ছেলে কখন ঘরে ফিরবে, সেই উত্কণ্ঠায় দিন গুনছে দেশবাসী। শুক্রবার বিকেলে পুলওয়ামা ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কোন পর্যায়ে তা নিয়ে বিদেশসচিব বিজয় গোখেল মুখোমুখি হয় কংগ্রেস নেতা শশী থারুর নেতৃত্বে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে। মোদ্দা দুই প্রশ্ন রাখা হয় বিজয় গোখেলের কাছে। এক, পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট নিয়ে। দুই, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন, প্রতিবেশী দুই দেশের শান্তি প্রচেষ্টায় তাঁর কাছে কিছু ভাল খবর রয়েছে।
কূটনৈতিকদের একাংশ মনে করছেন, ভারতের তত্পরতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়েই অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ। যদিও, এই দুই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দেননি বিদেশসচিব গোখেল। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে গোখেল শুধুমাত্র বলেন, অপেক্ষা করুন এবং দেখে যান। গোখেল ওই সংসদীয় কমিটির সদস্যদের অবগত করেন, কীভাবে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে ভারতের সামরিক ঘাঁটির উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এবং ভারতের তত্ক্ষণাত্ জবাবে তা ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন- নিষিদ্ধ ঘোষণার পর কাশ্মীরে জামাত নেতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সম্পত্তি সিল করল পুলিস
গতকালই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে সত্যতার প্রমাণ দিক কেন্দ্র। কত জঙ্গি নিধন হয়েছে তার খতিয়ান তুলে ধরুক। পাক মাটিতে বিমান হানার পর হতাহতের খবর নেই বলে দাবি করে পাকিস্তান। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বিজয় গোখেল বলেন, এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য জবাব দিতে পারবে একমাত্র বায়ুসেনাই। কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রশ্নে গোখেল তুলে ধরেন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কর্পোরেশন বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের অংশগ্রহণের বিষয়। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ভাবে এক ঘরে করতে মুসলিম দেশগুলি সমর্থন আদায় করতে পেরেছে ভারত।
আরও পড়ুন- পাকিস্তান আনন্দ পায় এমন ভাষায় কথা বলছে বিরোধীরা, তোপ অমিতের
উল্লেখ্য, বিদেশমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রয়েছেন রাহুল গান্ধীও। তবে এই দিন উপস্থিত ছিলেন না তিনি।