ওয়েব ডেস্ক : তুমি বীর সেনানী। ঝড়-জল-বৃষ্টি, সমস্তরকম প্রতিকূলতা অগ্রাহ্য করে দেশকে রক্ষা করাই তোমার কাজ। যুদ্ধক্ষেত্রে দেশমাতৃকাকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে শহীদ হলে তুমি বীরের মৃত্যু বরণ করলে। সারা দেশকে রক্ষা করা তোমার দায়িত্ব.... মিলিটারি ট্রেনিংয়ের সময় এই কথাগুলিই বার বার বলা হয়ে থাকে। পরিবার-পরিজন থেকে অনেক দূরে সীমান্তে দিন-রাত এক করে সীমান্ত আগলে রাখেন জওয়ানরা। কিন্তু, তাদের রক্ষা করে কে? সব প্রতিকূলতার মধ্যেও তাদের কাছে বাঁচার রসদ পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব কার? সরকারের। অভিযোগ, সরকার শুধু দায়িত্ব সেরেই নিশ্চিন্ত। সেই রসদ আদৌ জওয়ানদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না, আসল পরিস্থিতিটা ঠিক কীরকম? সেই বিষয়ে সরকার চোখ বুজে রয়েছে। ২৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদবের ফেসবুক ভিডিও সামনে আসতেই সরে গেছে পর্দা। তোলপাড় মিডিয়া থেকে প্রশাসন। চমকে উঠেছেন দেশের মানুষ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিডিওতে জম্মু-কাশ্মীরে ডিউটিরত ওই BSF জওয়ান বলছেন, "আমি তেজ বাহাদুর যাদব। ২৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা। অত্যন্ত দুর্গম জায়গায় একটানা ১১ ঘণ্টা আমাদের ডিউটি করতে হয়। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম খাবারটুকু আমরা পাই না। মিডিয়া থেকে সরকার, কেউই আমাদের আসল পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। সরকার আমাদের জন্য জিনিস পাঠায়। কিন্তু সে জিনিস স্টোর থেকে বাজারে চলে যায়। বিক্রি হয়ে যায়। সকালে ব্রেকফাস্টে আধপোড়া চাপাটি আর এক কাপ চা। দুপুরে ভাতের সঙ্গে ডাল বলতে শুধু নুন- হলুদের জল। প্রধানমন্ত্রীজিকে আমার অনুরোধ, অবিলম্বে এই বিষয়ে তদন্ত হোক।"




তেজ বাহাদুরের অভিযোগের নিশানায় সেনাকর্তারা। বার বার ভালো খাবারের জন্য বলা সত্ত্বেও তাঁরা কোনও অনুরোধ কানে তোলেননি, বলে অভিযোগ। শেষমেশ গতকাল সোশ্যাল মিডিয়াকেই তেজ বাহাদুর বেছে নেন তার অভিযোগ জানানোর জন্য। অনুরোধ করেন, তাঁর এই ভিডিও যত বেশি সম্ভব শেয়ার করে ছড়িয়ে দিতে। অল্পক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় তেজ বাহাদুরের আপলোড করা ভিডিওগুলি।




তেজের অভিযোগ দেখেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অবিলম্বে গোটা ঘটনায় স্বরাষ্টসচিবকে BSF-এর কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কড়া পদক্ষেপের। টুইটে কড়া সমালোচনা করেছেন সেহওয়াগও।




যদিও এসব অভিযোগ BSF পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁদের কাছে যাদব একজন "ব্যাড হ্যাট"। BSF-এর পাল্টা অভিযোগ, যাদবের আচার-আচরণে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। এর জন্য তাঁকে শাস্তিভোগও করতে হয়েছে। কাউকে কিছু না বলে তেজ যাদব সেনাছাউনি থেকে চলে গেছেন। নিয়মিত মদ্যপান। সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, এসবই যাদব করেছেন। চাকরিজীবনের প্রথমদিন থেকে তাঁকে কাউন্সেলিংয়ের মধ্যে রাখতে হয়েছে। মাত্র ১০ দিন আগেই তাঁকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়, পরীক্ষা করে দেখার জন্য।


আরও পড়ুন, বাস্তারে বেআব্রু নারী নিরাপত্তা, পুলিসের হাতেই একের পর এক ধর্ষিতা যুবতী!