নিজস্ব প্রতিবেদন: বুরারি, হাজারিবাগের পর এবার রাঁচি। আবার সেই মর্মান্তিক ঘটনা। রাঁচির কাঁকে থানা এলাকায় গোটা পরিবার আত্মহত্যা করেছে একসঙ্গে। একই পরিবারের সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুজন শিশু। ছেলের চিকিত্‍সার জন্য কুড়ি লাখ টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে, আরও টাকা দরকার। গোটা পরিবারে দীপক ঝাঁ ছাড়া অর্থ উপার্জনের আর কেউ ছিল না। পুলিসের অনুমান, তীব্র আর্থিক অনটনেই আত্মহত্যা। যেমনটা হয়েছিল হাজারিবাগেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুরারি কাণ্ডের ছায়া রাঁচিতে। রাঁচিতে একই পরিবারের সাত জন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার হল। এদের মধ্যে দুজন শিশু। কাঙ্কে থানা এলাকার এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আর্থিক কষ্টেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন দীপক কুমার ঝাঁ ও তার পরিবার। পুলিস জানিয়েছে, দীপক ঝাঁরা আদতে বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। দীপক বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ছিলেন তিনিই। তাঁর বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। রাঁচির কাঙ্কেতে বাবা, মা, ভাই, স্ত্রী ওই দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন দীপক ঝাঁ। বেশ কয়েক মাস ধরেই তীব্র আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছিল পরিবারটি। আরও পড়ুন- যোনি বিকৃতকরণ নিয়ে সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ : মেয়েরা শুধু স্বামীর জন্য বাঁচে না


স্কুলের ভ্যান এসেছিল মেয়ে দৃষ্টিকে স্কুলে নিয়ে যেতে কিন্তু দরজা খোলেনি। আর তারপরেই সামনে আসে সাতজনের একসঙ্গে মৃত্যুর ঘটনা। দীপক ঝাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে জঙ্গু অসুস্থ। তাঁর চিকিত্‍সায় এখনও পর্যন্ত কুড়ি লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরও টাকা দরকার। বড় পরিবার অর্থ উপার্জনের অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। অতএব চরম পথটাই বেছে নিয়েছে পরিবারটি... আরও পড়ুন- সেনাবাহিনীতে ছিলেন ৩০ বছর, আজ জানলেন ভারতীয়ই নন!