কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা বাতিল, সিংঘু সীমান্তে সরকারের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে কৃষক নেতারা
আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, নয়া ৩ কৃষি আইনই বাতিল করতে হবে। কারণ ওই আইনের ফলে কৃষকদের ফসল ঘুরপথে কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার রাতে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক শেষেই কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা জানিয়েছিলেন বুধবার কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষি আইন নিয়ে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না।
বুধবার ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত ফের জানিয়ে দেন, সরকারের সঙ্গে ষষ্ঠ দফায় যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল। তবে সরকার কৃষি আইন সংক্রান্ত যেসব প্রস্তাব পাঠিয়েছে তা কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন-শীতের দেখা নেই, কুয়াশায় ঢেকেছে সর্বস্ব! ব্যাহত ট্রেন, বিমান, ফেরি পরিষেবা
উল্লেখ্য, আজ দিল্লির সিংঘু সীমান্তে আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী রণনীতি কী হবে তা নিয়ে আলোচনায় বসেছেন কৃষক নেতারা। সেখানেই কেন্দ্রের দেওয়া একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। টিকায়েত জানিয়েছেন, কৃষকরা এরপর কী করবেনা তা বিকেল ৩-৪টে নাগাদ জানা যাবে।
হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, অমিত শাহ বলেছেন APMC-র নিয়ম কানুন অনেকটাই সরল করা হবে. চাষিদের জমি সুরক্ষিত করার জন্য কড়া আইন আনা হবে ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-লক্ষ্য মতুয়া ভোট, আজ বনগাঁয় সভা মমতার
এদিকে আন্দোলনকারী কৃষকদের দাবি, নয়া ৩ কৃষি আইনই বাতিল করতে হবে। কারণ ওই আইনের ফলে কৃষকদের ফসল ঘুরপথে কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের ফলে কর্পোরেটরা মজুত করার ক্ষমতা পেয়ে যাবে। পাশাপাশি সরকারের উদ্দেশ্য হল, ফসল কেনার জন্য কেন্দ্রে রাজ্যগুলিকে যে ক্যাশ ক্রেডিট দিয়ে থাকে তা তুলে নেওয়া।ফলে কিষাণ মান্ডিগুলে ধ্বংস হয়ে যাবে।