তেরঙ্গার অপমানকারীদের এখানে জায়গা নেই, কৃষক-এলাকাবাসী সংঘর্ষে তোলপাড় Singhu-Tikri সীমান্ত
জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছিল পুলিস। তার পরও কীভাবে সেখানে এলাকার লোকজন ঢুকে পড়ল তা এখনও জানা যাচ্ছে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার পাল্টা চাপ দিল্লি সীমান্তে অবস্থানরত আন্দোলনকারী কৃষকদের উপরে।
শুক্রবার দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে অবস্থানকারী কৃষকদের এলাকা ছাড়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে কয়েকশো লোক। তারা এলাকারই লোক বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। কৃষকদের জমায়েতে ঢুকে পড়ে তাদের তাঁবু ভাঙচুর, পাথর নিয়ে হামলা করে তারা। এদের দাবি, 'সিঙ্ঘু বর্ডার খালি করো',গণতন্ত্র দিবসে যারা তেরঙ্গাকে অপমান করেছে তাদের এই জায়গায় বসে থাকা যাবে না।
আরও পড়ুন- লোকসভায় Economic Survey পেশ অর্থমন্ত্রীর
এদিকে, কয়েকশো লোকের ওই হামলার পরই তাদের দিকে তেড়ে যান আন্দোলনকারী(Farmers Protest) কৃষকরা। ছোড়া হয় পাথর, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। পাশাপাশি তাড়া করা হয় পুলিসকেও। বাধ্য় হয়েই টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস, লাঠিচার্জও করা হয়।
সিঙ্ঘু সীমান্তে গত ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে বসে রয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। গণতন্ত্র দিবসের দিন ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে দিল্লিতে গোলমালের পর তাঁরা ফিরে আসেন সিঙ্ঘু সীমান্তে। শুক্রবার সেই জায়গাটিকেও ঘিরে রেখেছিল পুলিস। তার পরও কীভাবে সেখানে এলাকার লোকজন ঢুকে পড়ল তা এখনও জানা যাচ্ছে না।
সিঙ্ঘু সীমান্তে গোলমালের পরই টিকরি ও দিল্লি-হরিয়ানার সীমান্ত থেকেও সংঘর্ষের খবর আসে। ওই দুই এলাকায় এসেও এলাকা খালি করার দাবি জানায়। এখানেও কৃষক আন্দোলন বিরোধীদের দাবি, জাতীয় পতাকার অবমাননাকারীদের এখানে বসে থাকা যাবে না।
আরও পড়ুন- Saayoni 'যৌনকর্মী', Saumitra -র মন্তব্য বিজেপির ভাষা নয়: Samik
গণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে ঘিরে দিল্লিতে গোলমালের পরই পরিস্থিতি অন্য দিকে ঘুরে যায়। বৃহস্পতিবার সিঙ্ঘু সীমান্ত(Singhu Border) থেকে ৯৬ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার কারনালে অবস্থানরত কৃষকদের কাছে একদল লোক এসে বলে তাদের ওই জায়গা ছাড়তে হবে। কারণ ওই জায়গায় বলে থাকাতে তাদের যাতায়াতে অসুবিধে হচ্ছে। পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে ঘুরছে দেখেই সিঙ্ঘু সীমান্তে আজ মহাপঞ্চায়েত ডেকেছেন কৃষক নেতা রাকেশ সিং টিকায়েত।