নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিসকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেন কৃষকরা। তাদের মিছিল কব্জা করে ফেলেছিল হাঙ্গামাকারীরা। গণতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলে এসে যারা গোলমাল পাকিয়েছেন তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফ জানিয়ে দিলেন দিল্লির পুলিস কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২ জানুয়ারি দিল্লি পুলিস(Delhi Police) জানতে পারে ২৬ জানুয়ারি গণতন্ত্র দিবসে(Republic Day) দিল্লিতে একটি ট্রাক্টর মিছিল(Tractor Rally) করবে কৃষকরা। শ্রীবাস্তবের দাবি, ওই কথা জানার পরই কৃষকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়। মোট ৫ বার এনিয়ে কথা হয়। প্রথমে তাদের ২৬ জানুয়ারি মিছিল করতে নিষেধ করা হয়। পরে তাদের বলা হয় কুন্ডিল-মানেশ্বর-পালওয়াল এক্সপ্রেস ওয়েতে মিছিল করতে। তাতে তারা রাজী হয়নি। তাদের দাবি ছিল দিল্লিতেই মিছিল হবে। শেষপর্যন্ত সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়।



আরও পড়ুন- সস্তার দিন শেষ, চালু হল Parliament Cantee-এ খাবারের নতুন দাম


দিল্লি পুলিস কমিশনার জানান-


কৃষকদের বলা হয় মিছিল করতে হবে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।


প্রতিটি মিছিলকে নেতৃত্ব দিতে হবে তাদের নেতাদের।


মিছিলে ট্রাক্টরের সংখ্যা ৫০০০ বেশি হওয়া যাবে না।
 
এনিয়ে লিখিত প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন কৃষকরা।


শেষপর্যন্ত মিছিলের সামনে এগিয়ে দেওয়া হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী লোকজনকে।


মুবারকচকে মিছিলকে উস্কেছিলেন কৃষক নেতা সতনাম সিং পান্নু। কৃষক নেতা দর্শনপাল সিং পুলিসের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পথে যেতে অস্বীকার করেন। এরপরও পুলিস শান্ত ছিল।


আরও পড়ুন-একশো দিনের কাজে আবারও দেশের সেরা পশ্চিমবঙ্গ, পরপর ৪বার জাতীয় পুরস্কার 


নানগোলিতে হরিয়ানার কৃষকদের এনে হাঙ্গামা করেন কৃষক নেতা বুটা সিং। অক্ষরধামে পুলিসের সঙ্গে কৃষকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাদের নেতা রাকেশ টিকায়েতের নেতৃত্ব। পুলিস অনেক কড়া পদক্ষেপ নিতে পারতো। কিন্তু বিশাল ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৩৯৪ পুলিস কর্মী। বহু সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। গোটা বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা। অভিযুক্ত কৃষক নেতাদের সবাইকে জেরা করা হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। এখনওপর্য়ন্ত ১৯ জনেক গ্রেফতার করা হয়েছে, ৫০ জন আটক। ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।