পঞ্চম দফায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৬২.৮০ শতাংশ, ভোটদানে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ
এদিন যে সাত রাজ্যে ভোট ছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যে ভোটদান হয়েছে ৭৪.০৬ শতাংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত দফায় লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে গোটা দেশজুড়ে। সোমবার ছিল পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। এই দফায় কত ভোট পড়ল, তার সম্পূর্ণ চিত্র এখনও সামনে আসেনি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬২.৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই হিসেব সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। ফলে শেষ হিসেব এলে তা আর কিছুটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন যে সাত রাজ্যে ভোট ছিল, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যে ভোটদান হয়েছে ৭৪.০৬ শতাংশ। এছাড়া বিহারে ৫৬.৭৯ শতাংশ, জম্মু-কাশ্মীরে ১৭.০৭ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬২.৯৬ শতাংশ, রাজস্থানে ৬৩.০৩ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৩.৩২ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৬৩.৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কোচ আডবাণীর মুখে ঘুঁষি মেরেছেন বক্সার মোদী, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
এদিন ৫১টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। দেশের সাতটি রাজ্যে ছড়িয়ে ছিল এই আসনগুলি। পশ্চিমবঙ্গে ছিল সাতটি আসন। সব মিলিয়ে ৯৯২৮০টি বুথে এদিন ভোট নেওয়া হয়েছে। আর এই বুথগুলির ৮১ শতাংশ ছিল গ্রামীণ এলাকায়।
পঞ্চম দফায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থীরা লড়লেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত কেন্দ্র হল আমেঠি। ওই কেন্দ্রের তিনবারের সাংসদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর বিরুদ্ধে লড়লেন বিজেপির নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। স্মৃতি ২০১৪ সালেও আমেঠিতে রাহুলের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি। কিন্তু ২০০৯ সালের তুলনায় রাহুলের জয়ের মার্জিন কমিয়ে দিতে পেরেছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টের প্যানেলের
এছাড়া উত্তরপ্রদেশের আরও একটি কেন্দ্রের দিকে এদিন সকলের নজর ছিল। ওই কেন্দ্রটি হল লখনউ। সেখানে ২০১৪ সালে জিতেছিলেন বিজেপির রাজনাথ সিং। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারও সেখান থেকেই লড়ছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী করেছে পুনম সিনহাকে। পুনম রাজনীতিতে নতুন মুখ। তবে তাঁর স্বামী শত্রুঘ্ন সিনহা বলিউডের পরিচিত মুখ। এছাড়া বিজেপির সাংসদ ছিলেন। বিক্ষুব্ধ এই নেতা এবার কংগ্রেসের টিকিটে পাটনা সাহিব থেকে লড়ছেন।
রাজস্থানের জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রটিতেও এবার মুখোমুখি হয়েছেন দু’জন হেভিওয়েট। তাঁদের মধ্যে একজন অলিম্পিকে পদকজয়ী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। তিনি এখন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন আরও একজন অলিম্পিয়ান কৃষ্ণা পুনিয়া।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম চার দফায় ৬৯.৫১ শতাংশ ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। প্রথম দফায় ৬৯.৫০ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ৬৯.৪৪ শতাংশ, তৃতীয় দফায় ৬৮.৪০ শতাংশ ও চতুর্থ দফায় ৬৫.৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: শরিকের সাহায্যেই ক্ষমতায় বিজেপি! একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সন্দিহান রাম মাধব
পাঁচ দফার ভোট শেষে সব মিলিয়ে ৪২৪টি আসনের ভোটগ্রহণ হয়ে গেল। এর মধ্যে ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ শেষ। এখনও দু’দফায় নির্বাচন হবে। বাকি রয়েছে ১১৯টি আসনের ভোটগ্রহণ।
লোকসভায় মোট আসন ৫৪৩টি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৪২টি আসন। এই ৪২টি আসনের মধ্যে পাঁচ দফায় ২৫টি আসনের ভোট হয়ে গিয়েছে। বাকি দু’দফায় আর ১৭টি আসনের ভোট হবে।
আরও পড়ুন: জোর করে হাত চিহ্নে ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ তুললেন বৃদ্ধা, কমিশনের দ্বারস্থ স্মৃতি
ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ আগামী রবিবার, ১২ মে। সেদিন পশ্চিমবঙ্গের ৮টি আসনে নির্বাচন হবে। সব মিলিয়ে গোটা দেশে ষষ্ঠ দফায় ৫৯টি আসনে নির্বাচন হবে। শেষ দফাতেও ৫৯টি লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে। শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচন ১৯ মে। সেদিন পশ্চিমবঙ্গে ৯টি আসনের ভোট।