কোচ আডবাণীর মুখে ঘুঁষি মেরেছেন বক্সার মোদী, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রসঙ্গ টেনে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোমবার হরিয়ানার ভিওয়ানিতে এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তিনি এই আক্রমণ করেন। মোদীকে বক্সার ও আডবাণীকে মোদীর কোচ বলে বর্ণনা করেছেন রাহুল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রসঙ্গ টেনে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোমবার হরিয়ানার ভিওয়ানিতে এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তিনি এই আক্রমণ করেন। মোদীকে বক্সার ও আডবাণীকে মোদীর কোচ বলে বর্ণনা করেছেন রাহুল।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন বক্সার মোদী। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দুর্নীতি ও বেকারত্ব দূর করবেন। তার বদলে ঘুঁষি মারলেন নিজের গুরু আডবাণীর মুখেই। তার পর কৃষক ও ছোট ব্যবসায়ীদের ঘুঁষি মারছেন তাঁর দলের গড়করিজি, জেটলিজি।”
আরও পড়ুন: শরিকের সাহায্যেই ক্ষমতায় বিজেপি! একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সন্দিহান রাম মাধব
প্রসঙ্গত, এবার বয়সের গেরোয় বিজেপির অনেক বর্ষীয়ান নেতাকে প্রার্থী করা হয়নি। সেই দলে মুরলী মনোহর যোশী যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও। দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে এভাবে ব্রাত্য করে দেওয়ায় বিতর্ক হয়েছিল ব্যাপক।
বিজেপির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছিল। দলের বর্ষীয়ানদের মোদী-অমিতরা সম্মান দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। সোমবার কার্যত সেই প্রসঙ্গই খুঁচিয়ে তুললেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন: জোর করে হাত চিহ্নে ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ তুললেন বৃদ্ধা, কমিশনের দ্বারস্থ স্মৃতি
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার আডবাণী ইস্যুতে মোদীকে আক্রমণ করেছেন রাহুল। রাজনৈতিক গুরু আডবাণীকে মোদী তাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। আর এবার আডবাণী ইস্যুতে হিন্দুত্বকেও টেনে এনেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
তাঁর কথায়, হিন্দুদের ক্ষেত্রে শিক্ষক বা গুরুর গুরুত্ব অপিরিসীম। গুরুই সব। আর এখানে মোদীর গুরু কে? আডবাণী। তাঁকে মোদীই তাড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকী আডবাণীর সামনে মোদীকে কখনও জোড়হাতে দাঁড়াতেও দেখা যায় না। অথচ আডবাণীই মোদীকে রাজনীতি শিখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কলাইকুন্ডায় মিটিংয়ে ডাকছেন, আমরা চাকর-বাকর! এত সাহস কোথা থেকে আসে? পাল্টা মমতার
উল্লেখ্য, লালকৃষ্ণ আডবাণী গুজরাতের গান্ধীনগরের সাংসদ। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ওই আসন থেকে জিতে ছ’বার সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু এবার আর তাঁকে ওই আসনে টিকিট দেয়নি বিজেপি। সেখানে এবার ভোটে লড়ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।