মিথ্যে বলছে মালিয়া, বিবৃতি জারি করে বললেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি
মালিয়ার হাতে থাকা কোনও কাগজপত্র গ্রহণ করেনি বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। জেটলি তাঁর বিবৃতিতে ফের জোর দিয়ে বলেন, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার সুবাদে মালিয়া এ সুযোগ নিয়েছে। সে সময় তার সঙ্গে ওইটুকু আলোচনা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয় মালিয়ার দাবি সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, বিজয় মালিয়া যে দাবি করেছেন, তার কোনও সত্যতা নেই। একটি বিবৃতি দিয়ে অরুণ জেটলির দাবি, ২০১৪ সালের পর তার সঙ্গে সাক্ষাতের কোনও অনুমতি পায়নি। তাই মালিয়া যে সাক্ষাতের দাবি করেছে তার প্রশ্নই ওঠে না।
আরও পড়ুন- মালিয়ার প্রত্যর্পণে জেলের ভিডিও দেখতে চাইল লন্ডন আদালত
তবে, অরুণ জেটলি স্বীকার করেছেন, বিজয় মালিয়ার সঙ্গে এক বার সাক্ষাত হয় সংসদ চত্বরে। রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার সুবাদে বিজয় মালিয়া এই সাক্ষাতের সুযোগ নেয়। সে সময় হাঁটতে হাঁটতে তার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান জেটলি। মালিয়ার মিটমাট করার দাবি রেখেছিল, তবে এ বিষয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এমনকি মালিয়ার হাতে থাকা কোনও কাগজপত্র গ্রহণ করেনি বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। জেটলি তাঁর বিবৃতিতে ফের জোর দিয়ে বলেন, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার সুবাদে মালিয়া এ সুযোগ নিয়েছে। সে সময় তার সঙ্গে ওইটুকু আলোচনা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, বুধবার শুনানির শেষে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাইরে সাংবাদিকদের কাছে ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া দাবি, মিটমাট করতে ভারতের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে তিনি। এবং একাধিকবার মিটমাটের আর্জিও জানিয়েছে বলে মালিয়ার দাবি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর বিপাকে পড়ে যায় বিজেপি। এক ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি জারি মালিয়ার এই দাবি নস্যাত্ করে দিলেন অরুণ জেটলি।
আরও পড়ুন- দেশ ছাড়ার আগে অরুণ জেটলির সঙ্গে সাক্ষাত্ করছিলেন মালিয়া! বিস্ফোরক দাবি লিকার ব্যারনের
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বিজয় মালিয়ার নাম জড়ানোয় রাজনৈতিক তর্জা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ভি বলেন, "আমরা ১৮ মাস ধরে এই অভিযোগই করে আসছি, বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসির মতো ঋণখেলাপিদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বিজেপি।" সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, তাদের লুট করতে সরকার সাহয্য করেছে। এ বিষয়ে সরকারে দায়িত্ব নেওয়া উচিত।