নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদের ক্যান্টিনে সস্তার খাবারের দিন শেষ। বুধবার থেকে চালু হল নতুন দাম।  এনিয়ে বহুদিন ধরেই একটা বিতর্ক ছিল। এবার তা ইতি টানতে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন ছিল, দেশে দ্রব্যমূল্যে যেখানে বেড়েই চলেছে সেখানে সাংসদরা সস্তায় খাবার পান কোন যুক্তিতে? সেই বিতর্কে ইতি টেনে সরকার জানিয়ে দিল সংসদের ক্যান্টিনে(Parliament Cantee) এখন থেকে একটা আলু বড়ার দাম পড়বে ১০ টাকা। চিকেন বিরিয়ানির দাম পড়বে ১০০ টাকা, চিকেন কারির দাম পড়বে ৭৫ টাকা। নতুন যে রেট চার্ট দেওয়া হয়েছে সেখানে প্রায় আশি শতাংশ খাবারই নতুন।


আরও পড়ুন-নজরে Nandigram, পালস বুঝতে সার্ভে করবে TMC, নেতৃত্বে Subrata


উল্লেখ্য, এতদিন সংসদের ক্যান্টিন চালাত উত্তর রেল। টানা পঞ্চাশ বছর ওই ক্যান্টিনের দায়িত্বে ছিল তারা। এবার ক্যান্টিনের ভার দেওযা হয়েছে আটিডিসি(ITDC)-কে। তথ্য জানার অধিকার আইনে ২০১৫ সালে একটি আবেদন করা হয়। তখনই জানা যায় ভর্তুকির ক্যান্টিন চালাতে সরকার বছর কত টাকা খরচ করে। জানা যায় ওই ভর্তুকি দিতে সরকারের খরচ হয় ৮ কোটি টাকা। ওই তথ্য সামনে আসতেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।


আরও পড়ুন-'সন্ত্রাস করলে গ্রামছাড়া করব', মঙ্গলকোটে TMC কর্মী খুনে BJP-কে হুঁশিয়ারি Anubrata-র


প্রসঙ্গত, সংসদের ক্যান্টিনে এতদিন সস্তার খাবার শুধু সাংসদরাই(MP) খেতেন এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। ওই ক্যান্টিনে খেতেন সংসদের স্টাফ, নিরাপত্তা কর্মীরাও। ফলে উপকৃত হতেন বিরাট সংখ্য়ক মানুষ। ২০১৯ সালে কেন্দ্র সম্মত হয় সংসদের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়ানো হবে। সাংসদের আর ভর্তুকি দেওয়া হবে না। ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন সাংসদ অধীর চৌধুরী(Adhir Chowdhury)। কংগ্রেস সাংসদ দাবি করেন, সাংসদ ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে ভর্তুকি তোলা ঠিক নয়। এখন খাবারের নতুন যে দাম ধার্য হয়েছে তার আওতায় সংসদের স্টাফ ও নিরাপত্তা কর্মীরা পড়ছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। 


নতুন দাম


তালিকায় রয়েছে ৫৮টি খাবার। তার মধ্যে ,আলু বড়া-১০ টাকা, সেদ্ধ সবজি-৫০ টাকা, চাপাটি-৩ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি-১০০, চিকেন কাটলেট ১০০, চিকেন ফ্রাই ১০০, দই-১০ টাকা, ডাল তড়কা-২০ টাকা, মশলা ধোসা ৫০ টাকা, এগ কারি ৩০ টাকা, মাটন বিরিয়ানি ১৫০, মাটন কারি ১২৫, মাটন কাটলেট ১৫০।