'সন্ত্রাস করলে গ্রামছাড়া করব', মঙ্গলকোটে TMC কর্মী খুনে BJP-কে হুঁশিয়ারি Anubrata-র
ময়নাতদন্তের পর নিহতের দেহ পৌঁছল গ্রামে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আমার থেকে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না। সন্ত্রাস করলে ঘর থেকে বেরনো বন্ধ করে দেব, গ্রামছাড়া করব।' মঙ্গলকোটে তৃণমূল (TMC) কর্মী খুনে এবার সরাসরি বিজেপিকে (BJP) হুঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। শুক্রবার নিহতের বাড়ি যাবেন তিনি। 'তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই কারণে এই খুন। অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি যুক্ত কিনা, তা তদন্ত করে দেখবে পুলিস', পাল্টা অভিযোগ বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র (Soumitra Khan)।
ভোটের মুখে রক্তাক্ত মঙ্গলকোট ( Mangalkot)। মঙ্গলবার, প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বিজেপির (BJP) পাঁচ কর্মীকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিস। তবে মূল অভিযুক্ত শিশির ঘোষ এখনও ফেরার। তাঁর সন্ধানে তল্লাসি চালাচ্ছে। মৃতের বাবা সাগর ঘোষের অভিযোগ, 'গ্রামে বিজেপির সংগঠন ক্রমশ কমজোরি হয়ে যাচ্ছিল। আমার ছেলেকে দেখে অনেকেই তৃণমূলে চলে আসছিলেন। সেই কারণেই বিজেপির নেতারা ওকে পিটিয়ে খুন করেছে'।
আরও পড়ুন: নজরে Nandigram, পালস বুঝতে সার্ভে করবে TMC, নেতৃত্বে Subrata
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে দলের কার্যালয় থেকে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূলে বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন মঙ্গলকোটের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ইব্রাহিম শেখ। নিগন গ্রামে ঢোকার মুখে তাঁদের বাইক আটকানো হয় এবং বাইক থেকে পড়ে যাওয়ার পর সঞ্জিতকে বেশ কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে। রাতে সেখানেই মারা যান সঞ্জিত ঘোষ।
আরও পড়ুন: Teesta বাধের দাবিতে পথ অবরোধ কৃষকদের, প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে সামিল TMC প্রধানও
তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলকোট থানার নিগন গ্রামের ১৯৭ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন সঞ্জিত। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন সকালে বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজে যান স্থানীয় দলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার-সহ আরও অনেকে। ময়নাতদন্তের পর বিকেলে দেহ আনা হয় গ্রামে। তাঁকে শেষবার দেখতে মানুষের ঢল নামে গ্রামের রাস্তায়।