Gulmarg Avalanche Incident: গুলমার্গে প্রবল তুষারপাত, মৃত ও আহত একাধিক স্কিয়ার্স
প্রবল তুষারপাতে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করলেন পুলিস-সহ সেনা জওয়ানরা। এই মুহূর্তে উদ্ধার কার্য চলছে। উদ্ধারের পর স্কিয়ার্স ও পর্যটকদের সেনাছাউনিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আনন্দ করতে গিয়ে জীবনে এমন বিপদ নেমে আসবে, ওঁরা বুঝতেই পারেননি। বুধবার কয়েকজন বিদেশি স্কিয়ার্স-এর (Foreign Skiers) জীবনে এমনই অঘটন ঘটে গেল। কাশ্মীরের (Kashmir) গুলমার্গে (Gulmarg) ভয়াবহ তুষারপাতে কয়েকজন বিদেশির মৃত্যু ঘটেছে। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে প্রবল তুষারপাতে আটকে গিয়েছে একাধিক মানুষ। বারামুলা পুলিসের (Baramula Police) মারফত জানা গিয়েছে যে, এই বরফ ঝড়ে এক সেনাসদস্য এবং এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভারী তুষারপাতে চাপা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইজন্য জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন (Jammu and Kashmir Police), প্রয়োজন না হলে কাউকে বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করেছে।
এদিকে প্রবল তুষারপাতে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করলেন পুলিস-সহ সেনা জওয়ানরা। এই মুহূর্তে উদ্ধার কার্য চলছে। উদ্ধারের পর স্কিয়ার্স ও পর্যটকদের সেনাছাউনিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলেছে অসুস্থ পর্যটকদের। গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক তুষারপাত চলছিল গুলমার্গের একাধিক এলাকায়।
আরও পড়ুন: Union Budget 2023: নির্মলার বাজেটে দাম বাড়ল সোনার; সস্তা হল মোবাইল, জেনে নিন ১০ পয়েন্টে
আরও পড়ুন: Union Budget 2023: দাম কমছে মোবাইলের, টিভি'র! সস্তা হচ্ছে আরও অনেক কিছু; একনজরে দেখে নিন তালিকা...
আসলে বছরের এই সময় তুষারপাতের মতো মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার ইচ্ছা কার না থাকে। এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতেই গুলমার্গে যাচ্ছেন পর্যটক। ব্যাপক তুষারপাতের ফলে রাস্তা কয়েক মিটার পুরু বরফের চাদরে ঢেকে যায়। এর জেরে যানচলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রায় ২৭৫টি পর্যটক বোঝাই গাড়ি আটকে পড়েছিল। বেড়াতে গিয়ে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা।
শ্রীনগরে বুধবার ঘরের চালে বরফের স্তূপ জমে ভেঙে পড়ে। এইচসি মুর্মু নামে আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া কাশ্মীরে কুপওয়ারা জেলায় ৭২ বছর বয়সী রানি বেগম নামে এক বৃদ্ধা বরফ চাপা পড়ে মারা যান। গত শনিবার রাত থেকে কাশ্মীরে ভয়াবহ তুষারপাত শুরু হয়। বরফ চাপায় ৭০টিরও বেশি ঘরের চাল ভেঙে গিয়েছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কাশ্মীরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই কয়েক দিন ধরে।