নিজস্ব প্রতিবেদন : আস্ত একখানা বাঁধ ভেঙে পড়েছিল। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ঘটনা। কোনার ড্যাম ভেঙে পড়ার পরই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতর। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ইঁদুরের জন্যই এমন কাণ্ড ঘটেছে। বাঁধের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল ইঁদুরেরা। এর পরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কী কারণে বাঁধ ভেঙে পড়েছে তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ইঁদুরদের কোনও দোষ ছিল না বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তা হলে আসল দোষী কে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  এখানেও চালু করব এনআরসি, হুঁশিয়ারি দিল্লি বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারির



৪২ বছর লেগেছিল কোনার ড্যাম তৈরি করতে। সেই বাঁধ উদ্বোধনের ১৩ ঘণ্টা বাদেই ভেঙে পড়ল। রাতারাতি ভেসে গেল আশেপাশের একাধিক গ্রাম। শস্যে ভরা ক্ষেত জলে ভরে রয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষীরা। বাঁধের দায়িত্বে থাকা বিভাগের প্রধানরা এর পরই ইঁদুরের ঘাড়ে সমস্ত দোষ চাপিয়ে দেন। তবে তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে নিজেদের রিপোর্ট জলসম্পদ বিকাশ মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে। তাতে বাঁধ ভাঙার জন্য চারজন ইঞ্জিনিয়ারকে দায়ি করা হয়েছে। এই চারজনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন-  স্ত্রীয়ের সঙ্গে টিকটক, দাপুটে কংগ্রেস বিধায়কের খুনসুঁটির ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়


ইতিমধ্যে দায়িত্বে থাকা চার ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে বাঁধ ভেঙে ফসল নষ্ট হওয়ায় চাষীদের কতটা ক্ষতি হয়েছে সেই নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি প্রশাসন। যদিও এই বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলছিল বিরোধীরা। বাঁধ ভাঙার পর বিরোধীরা সুর চড়াতে শুরু করেছে। বিরোধী পক্ষের দাবি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একাধিক ব্যক্তি দুর্নীতিগ্রস্থ। বাঁধ ভাঙার জন্য তাঁদের দোষও কম নয়। কিন্তু শেষমেশ চারজন ইঞ্জিনিয়ারের উপর দায় চাপিয়ে তাঁরা নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন।