নিজস্ব প্রতিবেদন: ভৌতিক কাণ্ড! নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে বাড়িতে ভূত ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে লালুর আরজেডি, নীতীশের জেডিইউ এবং কংগ্রেসের মহাজোট সরকার তৈরি হয় বিহারে। নীতিশের মুখ্যমন্ত্রীত্বে সেই সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব পান তেজপ্রতাপ যাদব। এরপর ৩, দেশরত্ন মার্গে সরকারি বাংলো পান মন্ত্রী তেজপ্রতাপ। কিন্তু এরপর পাটনার রাজনীতিতে নাটকীয় পটপরিবর্তন আসে। 'দুর্নীতিতে অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া' লালুর হাত ছেড়ে বিজেপির সাহায্য নিয়ে ফের সরকার গড়েন নীতীশ কুমার। স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রীত্ব খোয়ান তেজপ্রতাপ। তারপরই বিহার পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে বাংলো পাঁকা করার কথা জানানো হয়। জানা যাচ্ছে, প্রথম নোটিসে বাংলো ছাড়েননি লালুর বড় ছেলে। কিন্তু দ্বিতীয় নোটিসে কড়াভাবে জরিমানার কথা বলা হলে বাংলো ছেড়ে দেন তেজপ্রতাপ।


কিন্তু, তেজপ্রতাপের ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, ভূতের কারণেই বাড়ি ছেড়েছেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমের সামনে তেজপ্রতাপ নিজে বলেছেন, "নীতীশ কুমার ও সুশীল মোদী বাংলোর মধ্যে ভূত ছেড়ে দেওয়ায় আমি ওই বাড়িটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে সেখানে রীতিমত ভূতের উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে"।


আরও পড়ুন- মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ সেনাপ্রধানের, নাখুশ ওয়াইসি


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তেজপ্রতাপের কুসংস্কারের কথা সুবিদিত। এছাড়া এর আগে সংশ্লিষ্ট বাংলোটির দক্ষিণ দিকের দরজাটিও বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। কারণ, এক বাস্তুশাস্ত্র বিশেষজ্ঞ তাঁকে দরজাটি বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ফলে, তেজপ্রতাপের মুখে ভূতের উপদ্রবের কথা শুনে বিস্মিত হচ্ছেন না অনেকেই। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই 'ভূতের ভয়' আদতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিসরে কোণঠাসা হয়ে থাকা থেকেই উদ্ভুত।