পরিসংখ্যান দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অসহিষ্ণুতার অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র
ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে ভারত দ্রুত সরে আসছে বলে চিঠিতে দাবি করেছেন বুদ্ধিজীবীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে দেশে ক্রমবর্ধমান গণধোলাই ও অসহিষ্ণুতার ঘটনায় আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্পষ্ট, এই ধরনের দাবি ভিত্তিহীন। সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন
ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে ভারত দ্রুত সরে আসছে বলে চিঠিতে দাবি করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও রিপোর্ট নেই সরকারের কাছে। তাঁদের দাবির নেপথ্যে পোক্ত ভিত্তিও নেই। দেশের সংবিধানের মূল্যবোধ বাঁচিয়ে রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, দেশে কারফিউ জারির মতো পরিস্থিতি কোথাও নেই।
রাজ্যসভার অধিবেশনে জিরো আওয়ারে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিসান রেড্ডি বলেন,'সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় 'জিরো টলারেন্স' নীতি নিয়ে চলছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে আগের চেয়ে কমেছে সাম্প্রদায়িক হিংসা'। পরিসংখ্যান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ২০১৩ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটনা ছিল ৮২৩টি। সেই সংখ্যা ২০১৮ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৭০৮।
গণধোলাইয়ের ঘটনা নিয়ে শাসক দলকে প্রশ্ন করেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। তখন কিসান রেড্ডি ব্যাখ্যা দেন, গণধোলাইয়ের ঘটনায় নির্দিষ্ট কোনও ধারা নেই। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ সুদীপ-ডেরেক-অভিষেকের
এদিন অসহিষ্ণুতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। ওই এই চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সই করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায়-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন- 'বুদ্ধিজীবীরা তৃণমূলের কেনা গোলাম, জয় শ্রী রাম বলায় গণধোলাইয়ে মৃত্যু নিয়ে চুপ কেন?'