Gujarat Assembly Election: নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই ধুন্ধুমার, ট্যুইট যুদ্ধ শুরু কংগ্রেস-বিজেপির
কংগ্রেস ট্যুইট করে ভারতের নির্বাচন কমিশনের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস ট্যুইট করে বলেছে, `ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করে’। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কংগ্রেসের ট্যুইটের প্রতিক্রিয়ায়, বিজেপি নেতা শাহজাদ পুনাওয়ালা ট্যুইট করেছেন যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই কংগ্রেস উভয় রাজ্যে পরাজয়ের ভয়ে তার স্বাভাবিক অজুহাত দেখানো শুরু করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবে। সেখানে গুজরাট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও নির্বাচন কমিশনের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস তার অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে ভারতের নির্বাচন কমিশনের স্বায়ত্তশাসনকে কটূক্তি করেছে। একইসঙ্গে পরাজয়ের ভয়ে একে কংগ্রেসের অজুহাত বলেছে বিজেপি। কংগ্রেস ট্যুইট করে ভারতের নির্বাচন কমিশনের স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস ট্যুইট করে বলেছে, 'ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করে’।
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে কংগ্রেসের ট্যুইটের প্রতিক্রিয়ায়, বিজেপি নেতা শাহজাদ পুনাওয়ালা ট্যুইট করেছেন যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই কংগ্রেস উভয় রাজ্যে পরাজয়ের ভয়ে তার স্বাভাবিক অজুহাত দেখানো শুরু করেছে। ইসিআই এখন টার্গেট, কারণ রাহুলকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রের প্রতি পরিবারের শর্তাসাপেক্ষে অঙ্গীকার রয়েছে। জিতলে ইসিআই ভালো!’
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশন আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরে গুজরাটে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর করা হবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গুজরাটে দুই দফায় ভোট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, নির্বাচন কমিশন হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের তারিখের সঙ্গে গুজরাট নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি। অন্যদিকে ২০১৭ সালে, হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাটের নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন ১৪ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল। ১২ নভেম্বর একদিনেই সম্পুর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আট ডিসেম্বর ভোট গণনা হবে।
বিজেপির শক্ত ঘাঁটি গুজরাতে হাই ভোল্টেজ নির্বাচনের বহুল প্রতীক্ষিত ঘোষণার আগেই ঘটে গিয়েছে মোরবির ব্রিজ ট্র্যাজেডি। এই ঘটনায় ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। বিজেপি, প্রায় ২৫ বছর ধরে রাজ্য শাসন করছে। ব্রিজ ভেঙে পরার পরে ভুপেন্দ্র প্যাটেলের সরকার বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি (এএপি), এই বছরের শুরুর দিকে পঞ্জাবে জয়ের পরে উজ্জীবিত রয়েছে। গুজরাটের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আপ আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৭ রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস গত কয়েক দশকের মধ্যে সেরা পারফর্ম করেছে। এরপরেও ক্ষমতাসীন বিজেপি এখনও ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।