জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোধরা বিধায়ককে টিকিট দেওয়ায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যে বিলকিস বানোর দোষীদের মুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন এবং ২০২২ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে তাদের "সংস্কারী ব্রাহ্মণ" বলেছিলেন।  টুইটারে মহুয়া লিখেছেন, এটাই গুজরাট  মডেল ঘৃণা কর, হত্যা কর আর পরে পুরস্কার পাও। তৃণমূল সাংসদ টুইট করেন, 'গোধরার বিধায়ক যিনি বিলকিস কাণ্ডে ধর্ষক ও খুনিদের 'সংস্কারী ব্রাহ্মণ' বলেছিলেন, তাঁকে ফের প্রার্থী করেছে বিজেপি। এটাই গুজরাট মডেল। ঘৃণ্য ও হত্যাকারীদের পক্ষে সওয়াল করে পুরস্কার পাও।' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহুয়ার বক্তব্য, গুজরাট মডেল হল ঘৃণা এবং মানুষ মারার মডেল। তারপর পুরস্কারও পাওয়া যায়। বিজেপি বিধায়ক চন্দ্রসিংহ রাউলজি এর আগে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। যে প্যানেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিলকিসের হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে, তার সদস্য ছিলেন চন্দ্রসিংহ। তিনি গুজরাটের গোধরার ৬ বারের বিধায়ক। বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টিকে অন্য অনেক আবেদনকারীর মতো মহুয়াও সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ২৯ নভেম্বর হওয়ার কথা।



এর আগে গত অগাস্ট মাসে বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া নিয়ে বিজেপি নেতা চন্দ্রসিং রাউলজি সংবাদ মাধ্যম 'মোজো স্টোরি'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ধর্ষকরা 'ভালো লোক,ব্রাহ্মণ'। আর ব্রাহ্মণদের ভাল 'সংস্কার' আছে বলে জানা যায়। তাদের কোণঠাসা করে শাস্তি দেওয়া কারও খারাপ উদ্দেশ্য হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সাজাপ্রাপ্তরা কারাগারে থাকার সময় ভালো আচরণ করেছেন।


২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো ধর্ষণের শিকার হন এবং তার তিন বছরের মেয়ে-সহ পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যা করা হয়। ধর্ষণের সময় বানো পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এই ১১ জন গোধরা সাব-জেলে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। ১৫আগস্ট তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।


আরও পড়ুন, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে! পৃথিবীর উচ্চতম বুথে পড়ল ১০০ শতাংশ ভোট! কোথায় জায়গাটি?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)