নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে জল্পনা শেষ। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হলেন জেডি(ইউ)-র প্রার্থী প্রাক্তন সাংবাদিক হরিবংশ নারায়ণ সিং। ইউপিএ প্রার্থী বি কে হরিপ্রসাদের থেকে ২০ টি ভোট বেশি পেয়ে এই প্রথম রাজ্যসভার সাংসদ হলেন জনতা দলের প্রবীণ নেতা। সদ্য প্রাপ্ত ডেপুটি চেয়ারম্যানকে অভ্যর্থনা জানান বিরোধী দলের নেতা গুলাম নবি আজাদ-সহ কংগ্রেস, তৃণমূল সাংসদরা। সংসদে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নিজের আসন ছেড়ে হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- দিল্লিতে বাংলাদেশি সন্দেহে নির্যাতন চলছে বাঙালিদের ওপর, রাজনাথকে চিঠি দিলেন অধীর


কার্যত সহজ জয় পেল এনডিএ। যে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে চরম উত্তেজনায় পৌঁছেছিল, কিন্তু বৃহস্পতিবার সাংসদে সরল পাটিগণিতে জয় পেল মোদী-অমিতরা। এ দিন ভোটাভুটি পর্বে এনডিএ-র পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি। ইউপিএ-র ঝুলিতে যায় ১০৫টি। ১৪ জন সাংসদ ভোটদানে বিরত থাকেন। উল্লেখ্য, ২৪৪ জন সাংসদের মোট ম্যাজিক ফিগার দরকার ছিল ১২৩।



রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে তুরুপের তাস ছিল বিজেডি দল। কয়েক দিন ধরেই নবীন পট্টনায়েককে নিয়ে দড়ি টানাটানি চলে শাসক এবং বিরোধী দলের মধ্যে। সমর্থন পেতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি ফোন করেন নরেন্দ্র মোদী। এর পর নীতীশ কুমারের দলের প্রার্থীকে পট্টনায়েক সমর্থন জানানোর আশ্বাস দেন। ভোট শুরুর আগে ১২৯ সাংসদের আস্থা জোগাড় করে ফেলার দাবি করে বিজেপি।


আরও পড়ুন- করুণানিধিকে চোখের জলে বিদায় জানাল দ্রাবিড়ভূম, রাজনৈতিকগুরুর পাশে সমাধিস্থ কলাইগনার


উল্লেখ্য, অনাস্থা প্রস্তাবের পর ফের বড়সড় ধাক্কা খেল বিরোধী জোট। জুলাইয়ে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবে গো-হারা হারতে হয় বিরোধীদের। এনডিএ-র ‘বিক্ষুব্ধ’ শরিক শিবসেনা এবং অকালি দল অনাস্থা প্রস্তাবের দিনের মতো এ দিনও সমর্থন দিতে দেখা গিয়েছে। এর ফলে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই অক্সিজেন পেলেন মোদী-অমিতেরা।